দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার সখিপুরে ঘেরের হারির টাকা নিয়ে হট্টগোল। মসজিদে রাখা টাকা নিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয়েছে নুর আলী গাইন নামের এক ব্যক্তির। জানাযায়, উপজেলার মাঝ সখিপুর গ্রামের মৃত কামেল উদ্দীন গাইনের পুত্র নুর আলী গাইন (৭০) নামের এক ব্যক্তির জমিতে প্রায় ১০ বছর ধরে মৎস্য ঘের করে আসছে একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী মোল্যার পুত্র আলমগীর মোল্যা। দীর্ঘ দিন তাদের মধ্যে হারির টাকা খাতা-পত্র ছাড়াই লেনদেন হয়। কিন্তু বিরোধ বাধে ২০১৯ সালের হারি নিয়ে। ঘের মালিক বলে ২০১৯ সালের হারির টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু জমির মালিক বলে ঐ টাকা ২০১৮ সালের হারি বলে দাবি করে। গত দেড় মাস পূর্বে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসাবসি করা হলেও কোন সমাধান হয়নি। ঘের মালিক মসজিদে উঠে ২০১৯ সালের হারি টাকা পরিশোধ হয়েছে একথা বলার ফলে জমির মালিক নুর আলী গাইন মসজিদে টাকা রাখলেও নিতে পারবে বলে স্বীকার করে। শুক্রবার নামাজ ও মিলাদ শেষে ঘের মালিক মসজিদে টাকা রেখে চলে যায়। মসজিদ থেকে টাকা নিয়ে কিছু দুর যেতে না যেতেই পথিমধ্যে মৃত্যু হয় জমির মালিক নুর আলী গাইনের। এবিষয়ে আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সম্পর্কে উনি আমার দাদা। আমি দীর্ঘ দিন ধরে ঘেরের হারির টাকা মৌখিক ভাবে দিয়ে কোন সমস্যা হয় নি। কিন্তু চলতি বছর ২০১৯সালের টাকা পরিশোধের পরেও তিনি ঐ টাকা ২০১৮ সালের বলে দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে সমস্যা চলছিল। তিনি টাকা পাওনা দাবি করে মসজিদে রাখলেও নিতে পারবেন বলে জানালে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আমি নুর আলী দাদার ১৮শতক জমি ১২হাজার টাকা বিঘা দরে ৬,৫৪৫/- টাকা মসজিদে রেখে বাড়িতে চলে যায়। পরে জানতে পারি তিনি টাকা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে মৃত্যুবরণ করেছেন।
দেবহাটায় হারির টাকা নিয়ে হট্টগোল: মসজিদ থেকে টাকা নিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু!
পূর্ববর্তী পোস্ট