মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দীনের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল)’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রা পেলো কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী।
শুক্রবার সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামে এ স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল) এসএসসি পরীক্ষার্থী এই শিক্ষার্থীকে ১৮ বছর উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের কোন আয়োজন করিবেন না মর্মে মেয়ের বাবা ও মাতার অঙ্গীকারনামা নেন এবং মেয়েকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন কবিরের জিম্মায় দেন। এব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন (সজল) বলেন, ‘বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা চাই না সদর উপজেলায় আর কোন বাল্যবিবাহ হোক। তিনি আরো বলেন, আমরা খবর পেয়ে মেয়েটির বাল্য বিয়ের চেষ্টা বন্ধ করেছি। এখন দেখার বিষয় মেয়েটির শিাজীবন রা পায় কি না। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমরা এটাও চেষ্টা করছি তাকে যেন অন্যত্র নিয়ে ১৮ বছর না হওয়ার আগে গোপনে বিয়ে দেয়া না হয়। তাকে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা মেয়ে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আসুন আমরা আমাদের মেয়ে শিশুদের শিা প্রাপ্তি নিশ্চিত করি। তাদের অপরিণত বয়সে বিয়ের দেয়ার চেষ্টা না করি। শিার মাধ্যমে আমরা যেন তাদের জীবন গড়তে সহায়তা করতে পারি।
পূর্ববর্তী পোস্ট