কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়ায় এবি পার্কে মেলায় ভ্যারাইটিজ শো নামে চলছে নগ্ন নৃত্য ও রমরমা জুুয়ার আসর। দেখার যেন কেহ নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর তাই সুযোগ সন্ধানীরা চালাচ্ছে অশ্লীলতার মেলা। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত বসছে চেনা অচেনা মানুষের মিলন মেলা। চারিদিকে শোনা যায় ডিজিটাল মাইকের সাউন্ড। কিছুতেই রাতে পড়াশুনা করতে পারে না এইচএসসি শিক্ষার্র্থীরা।
এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্থ ধারার নৃত্য দেখনোর অনুমতি নিলেও রাতে চালানো হয় রমরমা জুয়ার আসর। আর এর ফলে সমাজে বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকা-। অবৈধ বাণিজ্য করছেন এক শ্রেণির অসাধু রাজনৈতিক আমলারা।
সরেজমিনে মেলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রায়টা জাহাজ মারি প্রত্যন্ত অঞ্চল বিলের কিছু অংশ জুড়ে গড়ে ওঠেছে এবি পার্ক। পার্কের মালিক আব্দুল বাসার যুগিখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্র্যন্ত সেখানে চলে ভ্যারাইটিজ শো’র নামে অশ্লীল ড্যান্স। যে যত অশ্লীল নৃত্য দেখাতে পারবে তার তত কদর। পাশাপাশি দুটি ভ্যারাইটিজ প্যান্ডেল থাকায় পাল্লা দিয়ে চলছে অশ্লীলতা। প্রতিটি শো’তে ৫০টাকা হারে টিকিটি কেটে নাচের প্যান্ডেলে ঢুকে অশ্লীলতা দেখছেন উঠতি বয়সের যুবকরা।
একদিকে চলে অশ্লীল নৃত্য অন্যদিকে জুয়ার আসর। জুয়ার প্যান্ডেলে কয়েকটি জুয়ার বোর্ড থাকায় জুয়াড়িদের ভিড় চোখে পড়ার মত। ২০০ থেকে শুরু করে হাজার হাজার টাকার বাজি ধরা হয় বোর্ডে। কেহ হয় লাভবান আবার কারও হয় আর্থিক ক্ষতি। শুরুতে যাত্রা মানসম্মত হলেও পরে শুরুর হয় নগ্নতা।
এদিকে, পার্ক মালিক বলেন, মেলা চললে কিছুটা অশ্লীলতা হয়। সেদিকে আপনারা মানে (সাংবাদিকরা) কোন নজর দিয়েন না যে সব সাংবাদিকরা আসছে তাদের আমরা আয়োজক কমিটি খুশি করে দিয়েছি আপনাকেও দেব। কোন খবর প্রত্রিকায় লেখার দরকার নেই। যদি লেখেন তাহলে কোন সমস্য হবেনা বলে মনে করেন তিনি। মেলার মাঠ মালিক সানাউল্লাহ মেম্বার বলেন ১৫ দিনের জন্যে স্থানীয় প্রসাশনের কাছ থেকে মেলার অনুমতি নিয়েছি। গত কয়েকদিন হয়ে গেল কোন প্রকার মেলায় ঝামেলা হয়নি আর কেহ ঝামেলা করবেনা। অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া কিভাবে চলছেÑ এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। এমন সময়ে এ ধরনের মেলার কারণে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে মেলার অশ্লীলতা বন্ধ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ দেয়া হউক।
এদিকে, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আখতারুজ্জামান বলেন, “মেলা কয়েকদিন শুরু হয়েছে। সেখানে অশ্লীল কিছু চলার কথা নয়। যদি চলে তাহলে মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে।”
পূর্ববর্তী পোস্ট