দেশের খবর: যেসব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তানরা থাকেন না তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন মিলনায়তনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বাংলাদেশে সামাজিক জবাবদিহি ও ইচ্ছামূলক গণতন্ত্রের পরিস্থিতি : বর্তমান গতিপ্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এমন ডিসিদের তালিকা করার একটি পদক্ষেপ চলছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা দেখা গেছে যে যেসব জেলায় ডিসিদের সন্তানরা পড়াশোনা করে না সেখানকার স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুণ ও মান তদারকি ও যথাযথভাবে পরিচালনা করা হয় না।’
তাই জেলা প্রশাসকদের সাথে যাতে পরিবার থাকে তা সরকার নিশ্চিত করতে চায় বলে জানান মন্ত্রী।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ক্যাম্পেইন ফর পপুলার অ্যাডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার, ডিএফআইডি বাংলাদেশের আনোয়ারুল হক প্রমুখ।
বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী হতে হবে। কারণ সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১২৩ ধরনের সেবা মানুষকে দেওয়া হয়।’
মন্ত্রী জানান, যেসব পৌরসভার কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না সেগুলোর মেয়রদের বিদেশ সফরে যেতে দেবে না তার মন্ত্রণালয়।
এ সময় রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় এবং সরকারের উচিত বাংলাদেশের কল্যাণে তাদের সাথে কাজ করা।’
শাহীন আনাম বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা দেশে সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের শক্তি দেখাতে ভালোবাসেন। কিন্তু মানুষের অধিকার রয়েছে সরকারি সংস্থাগুলো থেকে সেবা পাওয়ার এবং তা দেওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব।’