বিদেশের খবর: চীনা সরকার সংখ্যালঘুদের হত্যা করে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। মঙ্গলবার জেনেভায় সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে আইনজীবী হামিদ সাবি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্দোষ ও নিরীহ লোকদের ধরে ধরে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন করা এ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ গণ-নৃশংসতাগুলোর একটি।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক কোয়ালিশন টু অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট অ্যাবিজ অফ চীন (ইটিএসি) ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। চীনের জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয় কিনা, তা খতিয়ে দেখাই চীনা ট্রাইব্যুনালের কাজ।
এ ট্রাইব্যুনাল জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করেছে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান স্যার জিওফ্রে নিস কিউসি এ অপরাধের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি কাউন্সিলকে বলেন, ‘জুনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনের বন্দী এবং ফালুন গং ও উইঘুর সংখ্যালঘুদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ আমরা পেয়েছি। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চীন সরকার সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকদের হত্যা করে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসছে।’
ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, জীবিত অথবা মৃত ব্যক্তির কিডনি, লিভার, হার্ট, ফুসফুস, কর্নিয়া এবং ত্বকের চামড়া অপসারণ করা হয় বিক্রির জন্য। যার মধ্যে বন্দী ও সংখ্যালঘুদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেশি। অঙ্গ প্রতিস্থাপন শিল্পের মাধ্যমে চীনা সরকার প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশের পর লন্ডনে চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র এ প্রতিবেদনটিকে গুজব বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এমনকি ইতালি, স্পেন,ইসরাইল এবং তাইওয়ানসহ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য চীনে ভ্রমণ করতে চাইলে তাদের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।