শিক্ষা ডেস্ক: উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনে কোনো গাড়ি/বাস ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারেনি।
ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছেন বিক্ষুব্ধরা। বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরতদের অন্যতম মুখপাত্র জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু।
এদিকে অবরোধের কারণে বুধবার অফিস কক্ষে ঢুকতে পারেননি প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কার্যালয়ে আসেননি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
আন্দোলনরতরা জানিয়েছেন উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করায় এখন তার অপসারণে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে ১ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা করেননি। এখন আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করব। আজকের (বুধবার) মতো আগামীকালও সর্বাত্মক ধর্মঘট চলবে। এরপরে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।
অপরদিকে বেলা ১১টায় পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন উপাচার্যের সমর্থক শিক্ষকরা। তারা আন্দোলনকারীদের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীরের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা ব্যর্থ হয়। আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন আন্দোলনকরীরা। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করায় উপাচার্যের অপসারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক ধর্মঘটের ঘোষণা দেন তারা।