খেলার খবর: নিউজিল্যান্ড সফরটা দারুণ যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের। প্রথম ওয়ানডেতে কিউই যুবাদের পাত্তাই দেয়নি তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও হেসেখেলে জিতলেন টাইগার যুবারা। স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়েছেন তারা।বৃষ্টির কারণে আগের দিন ম্যাচ গড়ায়নি। তবে রিজার্ভ ডে ছিল। ফলে বৃহস্পতিবার মাঠে গড়ায় খেলা। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুভ করে তারা। হোয়াইটের সঙ্গে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জোহরাব। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা হোয়াইটকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এ ওপেনার করেন ৩০ রান।
পরে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন নিউজিল্যান্ড যুব দলের খেলোয়াড়রা। তবে একপ্রান্ত আগলে থেকে যান জোহরাব। সেঞ্চুরি তুলে ফেরেন তিনি। ১৪২ বলে ৮ চারে ১১২ রানের নানন্দনিক ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। কিন্তু বাকি আর কেউই যেতে পারেনি ৩০ পর্যন্ত। শুরুর জুটির পর আর কোনো জুটিও পঞ্চাশ স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করতে সক্ষম হন স্বাগতিকরা।
২৪৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সূচনালগ্নেই ফেরেন পারভেজ হোসেন। পেসার ডি হ্যানককের অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বল টেনে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ। একটু সময় নেন মাহমুদুল। দুজনের জুটিতে এগিয়ে যান সফরকারীরা।৪৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তানজিদ। আদিত্য অশোকের ঝুলিয়ে দেয়া বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তাতে ভাঙে ৯৬ রানের জুটি। ৬৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেন তানজিদ।
শেষ পর্যন্ত শাহাদাত হোসাইনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শামিম। ২১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের উল্লাসে মাতেন তারা। দুর্দান্ত জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রথম একদিনের ম্যাচেও ৬ উইকেটে জেতে তারা।