নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে অফিস সহায়ক পদে চাকুরি দেওয়ার নাম করে অরুপ কুমার সাহা নামের এক প্রতারক ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপর একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে যোগদানের তারিখ জানানোর কথা বলে সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে টালবাহানা করছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নামধারী প্রতারক অরুপ কুমার সাহা।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন আশাশুনির রামদেবকাটি গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাস। তিনি বলেন আমার ছেলে অমৃত কুমার দাসের চাকুরি চাই, না হয় টাকা ফেরত দিক। তিনি প্রতারক অরুপ সাহা ও তার অপর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ বলেন ছেলের চাকুরি দেওয়া হবে এই শর্তে আমার শ্যালক সাতক্ষীরা সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম কুমার দাসের মধ্যস্থতায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অরুপ কুমার সাহাকে ১ লাখ টাকা ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৬ লাখ টাকা প্রদান করি। এরপর ব্রাইট এসোসিয়েট লিঃ এর প্যাডে আশাশুনি উপজেলা অফিস সহায়ক পদে একটি নিয়োগ পত্র প্রদান করেন ব্রাইট এসোসিয়েটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়দুল ইসলাম। তবে যোগদানের তারিখ পরে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আউট সোর্সিং নীতিমালা অনুসারে সরকার নির্ধারিত ২০ তম গ্রেডে এই নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বলেন এতে বিভিন্ন ধরনের শর্ত রয়েছে ১৩ টি। অভিযোগ করে তিনি বলেন গত ৯ মার্চ এই নিয়োগপত্র ইস্যু করা হলেও আজ অবধি যোগদানের তারিখ জানানো হয়নি। সাত মাস পার হয়ে যাওয়ায় অরুপ সাহাকে তাগিদ দেওয়া হলে সে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে জানায় সে ওই টাকা জয় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আবদুস সাত্তারের কাছে দিয়েছে। পরে তারা অগ্রনী ব্যাংকের ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক ইস্যু করে তা জনৈক মোজাম্মেল হকের কাছে দেয় তারা। এই চেক চাইতে গেলে মোজাম্মেল জানান আপনারা অরুপ সাহা ও সাত্তারের সাথে মীমাংসা করলে আমি চেক দিয়ে দেব। তবে অরুপ ও সাত্তার টাকা নভেম্বরে দেবে বলে জানিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বলেন আমি একজন দরিদ্র কৃষক । ছেলের চাকুরির কথা চিন্তা করে সহায় সম্পদ বিক্রি করে এই টাকা দিয়ে এখন বুঝতে পারছি বল্লী মুজিবর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নামের কলংক অরুপ সাহা একজন প্রতারক ও টাউট। এই প্রতারকের সাথে যুক্ত রয়েছে জয় ফাউন্ডেশনে আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন আমি এই দুই প্রতারকের কবল থেকে মুক্তি চাই। হয় তারা আমার ছয় লাখ টাকা ফেরত দিক, না হলে চাকুরি দিতে হবে আমার ছেলেকে।
তিনি এর প্রতিকার দাবি করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
চাকুরি দেওয়ার নামে অরুপ সাহা হাতিয়ে নিয়েছে ছয় লাখ টাকা
পূর্ববর্তী পোস্ট