নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন -পরিবেশ রক্ষা কমিটি সাতক্ষীরা জেলার আয়োজনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের আহবায়ক আবুল হোসেন খোকন। সদস্য সচিব মফিজুর রহমানের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অতিরিক্ত পিপি এড. মোস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল, জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, শেখ শওকত আলী, শেখ তহিদুজ্জামান তোতা, শেখ হাফিজুর রহমান, মোঃ রহমত আলী, মহাসিনুল হাবিব মিন্টু, হাফিজুর রহমান, এড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ(এপিপি), মোঃ আবিদার রহমান, শাহাজান আলী, ওলিউর রহমান মুকুল, ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া বাবু, মনিরুজ্জামান টুটুল, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ২৭টি নদ-নদী, ৪২৯টি খাল, ২০৯টি বিল এবং ১৪২৩টি গ্রাম রয়েছে। কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, মরিচ্চাপ, কাকশিয়ালী, যমুনা, লাবণ্যবতী, ইছামতিসহ ১১টি ছোট বড় প্রবাহমান নদী নির্ভরশীল তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে প্রায় ৫০লক্ষ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশ সমস্যায় উপকূলীয় নদনদী গুলোদ্রুত পলিজমে ভরাট হয়ে গেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া ৬০ দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা প্রতিরোধ অধিক খাদ্য ফলানোর জন্য উপকূলীয় এলাকায় স্লুইস গেট নির্মাণ করেন। এতে ক্রমে এ এলাকায় চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। এছাড়া নদীর পাড় দখল করে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠায় দিন দিন নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে নদী দখল করে ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান তারা। এছাড়া আজ মঙ্গলবার একই দাবিতে বিকাল ৪টায় মাছখোলা বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সকলে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দাবি সমূহ : ১৯৬২,১৯৭২, ১৯৯২ মাপ জরিপ অনুযায়ী নদী ও খাল খনন কর। নদী খাল খনন করে প্রত্যেক নদী খালের সাথে জোয়ার ভাটার ব্যবস্থা করতে হবে। নদী ও খালের পাশের্^ অবৈধ উচ্ছেদ জরুরি ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণআদালতের মাধ্যমে করতে হবে। খাল ও নদীর ধারে বসবাসকারী অসহায় গরিব মানুষগুলোকে উচ্ছেদের পূর্বে পূর্নবাসন করতে হবে। সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও নদীর প্রশাস্ত ঠিক রাখিয়া কাঁচা পাকা স্থাপনা তৈরী কর। সড়ক গ্রামীন সড়ক ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। নদী খালের পানি কোন ভাবেই আবদ্ধ করা যাবে না। সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক তৈরীর সময় নদী খাল উপর ব্রীজ কালভার্ট দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করিয়া নদীর খাল প্রস্থ ঠিক রাখা। নদী খাল ল্যাবতা বৃদ্ধির জন্য সরকারী বরাদ্দ করিয়া খনন করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও বন পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক পাশের্^ নির্দিষ্ট (১০ফুট) দূরে ভেড়িবাধ দিয়ে বের করতে হবে। বেতনা নদীর ধার দিয়ে ইট ভাটার নদীর চর ও অবৈধ দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। । তামাক পাতা প্রসেসিং বেকারী ইট-ভাটা হোটেল রেস্তরায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। গাছ বন রক্ষা করে কাঠের বিকল্প জ¦ালানি হিসাবে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামীণ সড়কে যানবাহনে গ্যাস ব্যবহার করে ও শিষা মুক্ত জ¦ালানী ব্যবহার করিয়া পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও বন পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নিচু বিলগুলো উঁচু করতে টি আর এম চালু করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। জলাবদ্ধতার কারণে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা হাজার হাজার অসহায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক পাশের্^ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশে প্রতি মানুষের কাছে তিনটি করে গাছ লাগানোর জন্য অনুরোধ করছি। (ফলজ, বনজ, ঔষধী)।
১৯ দফা দাবিতে বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন -পরিবেশ রক্ষা কমিটির পথসভা
পূর্ববর্তী পোস্ট