নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ এর অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড় থেকে বাঙালের মোড় পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। রবিবার দুপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লার নেতৃত্বে সড়ক ও জানপদ বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কে অবস্থিত পৌর ৮নং ওর্য়াড যুবলীগের অফিসসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ৭নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগ অফিসসহ রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত শতাধিক অবৈধ দোকান এ সময় নিজ উদ্যোগে সরিয়ে ফেলার কাজ করতে দেখা যায়। নিউ মার্কেট এলাকার ফল ব্যবসায়ী পলাশপোল নিবাসী মৃত জামাল উদ্দীনের পুত্র আব্দুস ছাত্তারকে এ সময় অটক করা হয় এবং পাঁচ দিনের কারাদ- প্রদান করা হয়। এছাড়া আমিনুর রহমান নামে অন্য ফল ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা এবং আজাহার ইসলামকে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পেশকার প্রণব কুমার সরকার, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জিয়া উদ্দীন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শিমুল হুসাইন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, সার্ভেয়ার কামরুজ্জামান আহছানসহ আরও অনেকে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনেক জায়গা বর্তমানে বেদখল আছে। সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড় থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত রাস্তা কোথাও ১০০ ফুট কোথাও ৯৫ ফুট চওড়া। কিন্তু দখলের কারণে বর্তমানে তা গড়ে ৭০-৮০ ফুট এর বেশি নেই। তাই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। অগামিকালও (সোমবার) এই অভিযান চলমান থাকবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হবে। সাতক্ষীরাকে একটি স্থায়ী বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তারই অংশ হিসেবে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ নামে এই সামাজিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অপরিচ্ছন্নতা দুর করে সাতক্ষীরাকে একটি সুন্দর মডেল নগরীতে পরিণত করা হবে।