দেশের খবর: সামশুল হক চৌধুরী ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের পর আওয়ামী লীগের আরেক সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রতনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর দুদকের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই সাংসদ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে বুধবার ক্ষমতাসীন দলটির দুই সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক।
এমপি রতনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, “বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জেনেছে, তিনি (এমপি রতন) দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তিনি যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এর সঙ্গে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগ আসে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক ক্যাসিনো ও অন্যান্য অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।