দেশের খবর: ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী চলমান ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরুর পর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক লেনদেনে ব্যাপকভাবে নজরদারি শুরু করেছে। এর মধ্যে অর্থ উত্তোলন ও এক অ্যাকাউন্ট বা হিসাব থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাশিপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুদক। হিসাবগুলো আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যুবলীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মো. আবু কাওছারসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের। আপতত মৌখিক নিদের্শনার আলোকে আলোচিত ব্যক্তিদের ব্যাংক লেনদেন সম্পর্কে সতর্কতা দিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ভিআইপি কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের নাম পত্রপত্রিকায় উঠে আসছে তাদের ব্যাপারে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে সংসদ সদস্য, সরকার দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী, ব্যাংকের একজন সাবেক এমডি, সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী রয়েছেন। আর এদের প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অর্থ উত্তোলন যাতে করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় থেকে শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ‘ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার ব্যাংকগুলোর পাঠানো তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংকের ৬০০ হিসাবের মধ্যে জি কে শামীমের ১৯ ব্যাংকে ১৩২, খালেদের ৮ ব্যাংকে ৭১, কাজী আনিসের ৮ ব্যাংকে ৩৩, লোকমানের ১০ ব্যাংকে ৪০ হিসাব রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের আমানতের স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টগুলোর লেনদেন স্থগিত ও কিছু জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে আরো শতাধিক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আলাদাভাবে চিঠি দিতে যাচ্ছে দুদক। এ সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপকের কাছে চিঠি দেয়া হয়। দুদক মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খানের সই করা চিঠিটি বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছেছে।
এদিকে, বুধবার গণপূর্ত বিভাগের ১২ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইমিগ্রেশনের এসপি বরাবর চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সংস্থার চাহিদা মোতাবেক গ্রাহকের তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব গ্রাহকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা যাতে অর্থ উত্তোলন করে নিয়ে যেতে না পারেন বা অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে না পারেন সেজন্য কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেননা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করে নিয়ে গেলে এর দায়-দায়িত্ব ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপরও বর্তাবে। এ কারণেই কোনো বড় অংকের ব্যাংক চেক বা পে-অর্ডার এলে তা নগদায়নের আগে বিতর্কিত ব্যক্তিদের কি না-তা মিলিয়ে দেখছেন ব্যাংকাররা। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার চাহিদা মোতাবেক আলোচিত গ্রাহক কোনো ব্যাংকের লকার ব্যবহার করছেন কি না- তার তথ্যও ব্যাংকগুলোকে সরবরাহ করতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেয়া চিঠিত বলা হয়েছে, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুদকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসংক্রান্ত অনুসন্ধান ও মামলা চলমান আছে। বিভিন্ন সূত্র দুদক জেনেছে, অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে জব্দ হওয়া হিসাবগুলোর বিবরণী ও লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা জরুরি। তাই দুদকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ওই সব তথ্য জরুরিভাবে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার শতাধিক ব্যক্তির সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে এনবিআর ও বিএফআইইউতে চিঠি পাঠায় দুদক। এই ১০০ জনের মধ্যে সরকার-দলীয় চার সাংসদসহ অধিকাংশই রাজনীতিক। ইতিমধ্যে এনবিআর তাদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শুদ্ধি’ অভিযান শুরুর পর দুদক প্রথমে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানালেও এই তালিকা দিন দিন বড় হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তের প্রয়োজনে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করব বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের তদন্ত কাজে সহায়তা করবে।
গত বুধবার দুদকের মহাপরিচালকের চিঠির সঙ্গে যে তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে তার প্রথম ধাপে আছেন- বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যুবলীগের ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁঁইয়া, জি কে শামীম, অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান, যুবলীগের কাজী আনিসুর রহমান আনিসসহ ২৩ জন।
এছাড়া অন্যরা হলেন- ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জকামান রাজিব, হাবিবুর রহমান মিজান, মোমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের এনামুল হক আরমান, সেলিম প্রধানের সহযোগী শাহনাজ পারভীন, আক্তারুজ্জামান, আলম গাজী, জাকির হোসেন পলাশ, মুমিতুর রহমান, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ভাগ্নে শাহেদুল হক, গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়া, কৃষক লীগের শফিকুল আলম ফিরোজ, মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, জি কে শামীমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার, তার আত্মীয় শামীমা সুলতানা, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম সোহেল।
এদের হিসাবে আমানতের স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে জি কে শামীমের ১৯ ব্যাংকের ১৩২ হিসাবে ৪৫৯ কোটি টাকা। তার ঋণ স্থিতির পরিমাণ ১৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
তালিকায় দেখা যায়, কৃষক লীগের শফিকুল আলম ফিরোজের ৯ ব্যাংকের ১৬টি হিসাবে আমানত স্থিতি আছে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা করেছে দুদক। বুধবার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নামে ৮ ব্যাংকের ৭১ হিসাবে ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা, এনামুল হক এনু ও রুপনের নামে ১৬ ব্যাংকের ৫০ হিসাবে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, কাজী আনিসুর রহমানের নামে ৮ ব্যাংকের ৩৩ হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা, মুমিতুর রহমানের নামে ৮ ব্যাংকের ৩৩ হিসাবে ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এছাড়া মোমিনুল হক সাঈদের নামে ৪ ব্যাংকের ৭ হিসাবে ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা, লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার নামে ১০ ব্যাংকের ৪০ হিসাবে ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ও ১ হাজার ৬৫৯ দশমিক ৪৮ মার্কিন ডলার, সেলিম প্রধান ও তার সহযোগীদের নামে ২০ ব্যাংকের ৭৫ হিসাবে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও ১০০৮.৮০ ডলার।
সম্রাটের নামে ব্যাংকের ১৪ হিসাবে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা, হাবিবুর রহমান মিজানের নামে ৭ ব্যাংকের ৪২ হিসাবে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, এনামুল হক আরমানের নামে ৫ ব্যাংকের ৩১ হিসাবে ৪ কোটি টাকা, তারেকুজ্জমান রাজীবের নামে ৫ ব্যাংকের ৩১ হিসাবে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা আমানত স্থিতি রয়েছে।
জানা গেছে, তালিকায় নাম থাকা বরিশাল-৪ আসনের এমপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ভোলার এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, চট্টগ্রামের এমপি ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব শামসুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাতক্ষীরার সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, সাবেক এমপি শামসুল হক ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, তার স্ত্রী পারভিন সুলতানা, ঢাকা যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি নেতা গাজী সারোয়ার বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জি কে শামীমের ক্যাশিয়ার জিয়া, সোহেল ও নাঈম, যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, সরোয়ার হোসেন মনা, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, শেখ মারুফ, ৪১নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি তাবিবুল হক তামিম, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের আবুল কালাম, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আবুল কালাম আজাদ, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ভূঁইয়া, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাতেনুল হক ভূঁইয়া, হারুনুর রশিদ, পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিনারুল চাকলাদার, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোংয়ের জামাল হোসেন, বনানী গোল্ড ক্লাবের আবদুল আউয়াল, ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, শিক্ষা অধিদফতরের ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাজ্জাদ, মুমিতুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের, আফসার উদ্দিন, ইলিয়াস আহমেদ, স্বপন চাকমা, প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, শওকত উল্লাহ, গণপূর্ত সার্কেল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামী আফজাল, সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমার রায়সহ আরো শতাধিক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য চেয়ে পৃথকভাবে চিঠি দিচ্ছে দুদক।
এদিকে যাদের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হলেন-গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক, মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, আফসার উদ্দিন, ইলিয়াস আহমেদ, স্বপন চাকমা, প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, আবদুল মোমেন চৌধুরী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাজ্জাদুল ইসলাম, মুমিতুর রহমান।
বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইতিমধ্যে ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। কিন্তু সন্দেহভাজন গ্রাহকদের তথ্য সরবরাহ এখন ব্যাংকগুলোর বাড়তি কাজ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে যাদের নাম পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে, তাদের বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে সব আলোচিত ব্যক্তির ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চাওয়া হচ্ছে- তারা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী। ইতিমধ্যে ব্যাংক লেনদেনের তথ্যের পাশাপাশি লকার হোল্ডারদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। সূত্র:মানবজমিন