নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিব বর্ষ ২০২০ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে চেনো’ শীর্ষক সাধারণ জ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার সবচেয়ে বড় এই কুইজ প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রী কলেজ রানার আপ হয়েছে।
এছাড়া স্কুল পর্যায়ে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং কালিগঞ্জ শ্রীকলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রানার আপ হয়েছে। রোববার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম আফজাল হোসেন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. হুসাইন শওকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে চেনো’ এটি সময়োপযোগী স্লোগান। বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে চেনো এবং বাংলাদেশকে জানো, বঙ্গবন্ধুকে চেনো- একে অপরের পরিপূরক।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি অতীত ভুলে যায় সে জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এখন শুধু আমাদের সম্পদ নয়, সারা বিশ্বের সম্পদ। তিনি জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস, একটি শোক ও বেদনার দিন। আজকের এই দিনে জাতির পিতার অন্যতম চার সহচরকে জেলখানার নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। কিছু দুষ্কতিকারী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, মানুষ হত্যা করে কখনো জাতীয় চেতনাকে হত্যা করা যায় না এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে নস্যাৎ করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীদেরকে জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ইতিহাস এনং কার নেতৃত্বে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, কার ডাকে মানুষ সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সারা বিশ্বকে অবাক করে দেওয়ার মতো আয়োজনে সাতক্ষীরাতে মুজিববর্ষ পালন করা হবে।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তোমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের ক্রেস্ট, মেডেল এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত বিভিন্ন বই উপহার দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতিযোগিতার শুরুতে ৭টি উপজেলার ৩৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৭৬ জন শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং মূল পর্বে উপজেলা বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ ১৭টি কলেজের ৩৪জন প্রতিযোগী এবং ২২টি স্কুলের ৪৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দর্শক হিসেবে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।