নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা বাতিল ঘোষনার পর সরকারি খাল উন্মুক্ত করতে নেটপাটা অপসারনের সময় জনগনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন। তাকে ও তার সঙ্গীদের ওপর ইজারা গ্রহনকারীদের পক্ষের লোকজন সোমবার দুপুরে এই হামলা চালায়।
তবে ইউএনও ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হননি। তার সঙ্গে থাকা লোকজন হামলার শিকার হয়েছেন।
তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের মাদরা বালিয়াদহা এলাকায় ইউএনও ইকবাল হোসেন লোকজন নিয়ে ইজারা বাতিল ঘোষিত খালগুলি উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে নেটপাটা অপসারনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার পর তিনি মাদরা বালিয়াদহার মধ্যবর্তী খোবরাখালী খালের পানি অপসারনে বাধা দুর করাচ্ছিলেন। গ্রামবাসী জানান এই খালটি স্থানীয় সমীর কুমার দাস এক বছর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। পার্শ^বর্তী আরও দুই একটি খাল জনগনের পক্ষে ইজারা নিয়ে তারা মাছ চাষ করে আসছেন। ইউএনও ইকবাল হোসেন নেটপাটা অপসারন করতে গেলে তারা সম্মিলিতভাবে বাধা দেন এবং তাদের কাছে ইজারার কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন। এসময় তারা কয়েকদিনের সময়ও প্রার্থনা করেন। তবে ইউএনও এতে সম্মত না হওয়ায় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা ইউএনও ও তার সঙ্গীদের ঘিরে ধরে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের শার্ট ধরে টানাটানি এবং ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। ইউএনওকে রক্ষা করার জন্য গ্রামবাসী এগিয়ে এলেও একদল নারী ঝাঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। গ্রামবাসী তাদের মাছধরা জাল জোর করে ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তিনি নেটপাটা অপসারন কার্যক্রম স্থগিত রেখে এলাকা ত্যাগ করেন। এর আগে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ চন্দ্র হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি অনাকাঙ্খিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান তিনি নেটপাটা অপসারন করে খাল উন্মুক্ত করছিলেন। এ সময় কিছু লোক হামলা করে। তবে তিনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত না হলেও তার সঙ্গে থাকা লোকজন হামলার শিকার হয়েছেন। ভিডিও করার সময় তারা তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। এমনকি পরনের কাপড়চোপড় নিয়েও টানাহেঁচড়া করেছে। এ বিষয়ে তালা থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি মেহেদী রাসেল জানান এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো কোন মামলা হয়নি।