দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় এক অসহায় যুবতী জেলা পরিষদের কেয়ার টেকারের প্রতারনার শিকার হয়ে বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঐ যুবতী জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে জানালেও এখনো পর্যন্ত ঐ কেয়ার টেকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে সে ঐ প্রতারক ও নারী নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দেবহাটা উপজেলার দাদপুর গ্রামের এলাউর রহমানের মেয়ে সারমিন সুলতানা জানান, তিনি দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসে কাজ করাকালীন সময়ে সাতক্ষীরার সুলতানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তারিফুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। তারিফুল জেলা পরিষদের কেয়ার টেকার হিসেবে কালীগঞ্জ ডাকবাংলোতে কর্মরত আছে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তারিফুল তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে তারিফুলের আগে স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোরআন শরীফ ছুয়ে সে অবিবাহিত বলে আমাকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে গত প্রায় ২ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পরে আমাকে নিয়ে ঘর সংসার করাকালীন ৬ মাস পরে আমি তারিফুলের আগের বিয়ে সম্পর্কে জানতে পারলে সে আমাকে মারপিট শুরু করে। কিছুদিন পরে আমার পরিবার তারিফুল ও আমার বিয়ে কাবিননামা দেখতে চাইলে দেখা যায় সে ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে আমাকে বিয়ে করেছে। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা কাজী অফিস থেকে ২ লক্ষ দেনমোহরে আমাদের আবারো বিয়ে সম্পাদন করে। কিন্তু তারিফুল বিয়ের পর থেকে আমার সঞ্চিত প্রায় ১ লক্ষ টাকা ও আমার চাকরীর সমস্ত টাকা নিজে নিয়ে খরচ করার পরে আমাকে প্রায়ই সময় তারিফুলকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে তারিফুল প্রায়ই সময় আমাকে মারপিট করে। সারিমন জানান, এর মধ্যে ২ বার গর্ভবতী হলেও তারিফুল জোরপূর্বক তার বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। এছাড়া তারিফুলের আগের স্ত্রী ও তার বাবা মা প্রায়ই সময় তাদের ভাড়া বাড়িতে এসে তাকে হুমকি ও মারপিট করে। গত ইং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ রাতে তারিফুল আবারো টাকার জন্য তাকে বেদম মারপিট করলে সারমিন তার মাকে সংবাদ দিলে তার মা যেয়ে সেখান থেকে তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে সারমিন জেলা পরিষদে তারিফুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সারমিন উক্ত প্রতারক ও নারী নির্যাতনকারী তারিফুলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট