শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রীতিমতো অবিশ্বাস্যভাবে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার জুভেন্টাসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেও হোঁচট খেয়েছে বার্সা। হেরে গেছে ৩-০ গোলের ব্যবধানে। শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে আরেকটি দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পই লিখতে হবে কাতালানদের।
জুভেন্টাসের মাঠে প্রায় পুরো ম্যাচেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেননি বার্সেলোনার তারকা ফুটবলাররা। অন্যদিকে শুরু থেকেই সফরকারীদের চাপের মুখে রেখেছিলেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা। ৭ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন পাওলো দিবালা। ২২ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল করেন জুভেন্টাসের এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৫ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। ম্যাচে হার নিশ্চিত হয়ে গেলেও দু-একটি গোল শোধ করতে পারলেও দ্বিতীয় লেগের জন্য কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু সেটাও করতে পারেননি মেসি, নেইমাররা। আর এজন্য শিষ্যদের ওপর চরম চটেছেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ঠিকঠাক খেলতে পারলে যেকোনো দলকে চার গোল দিতে পারতাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি এতটাই রেগে আছি যে, এটা নিয়ে ভাবতেও চাই না।’
২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। এবার শেষ আটের লড়াইয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার পথে অনেকখানিই এগিয়ে গেল জুভেন্টাস। বার্সেলোনার মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারলেও সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে ইতালির অন্যতম সেরা এই ক্লাব।