আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্থানীয়দের পরিস্থিতি আড়াল করার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উহানে নিজ বাড়িতে এক নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন।
উহানের সুপারভাইজরি কমিশন এই ঘটনা উদঘাটন করেছে। এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ বলছে, কিয়াওকোউ জেলার চ্যাংফ্যাং অ্যাভিনিউতে বসবাস করতেন চেং নামের ওই ব্যক্তি। সেখানকার কর্মকর্তারা ওই আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেনি। যদিও তারা জানতেন যে তিনি করোনাভাইরাসে সম্ভাব্য আক্রান্ত হয়েছেন।
অবহেলার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তার সঠিক চিকিৎসা করেনি। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কিন্তু চেং কখন এই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি সরকারি প্রতিবেদনে। এতে যে সমাজে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা স্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে চীনে আরও ৯৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে জানুয়ারির পর থেকে সোমবারই প্রথম চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে দুই হাজারের নিচে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, দেশটির মূল ভূখণ্ডে রোববার আরও এক হাজার ৮৮৬ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৪৮ জন।
সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।