দেশের খবর: দেশে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ভারাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ জনে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন করে আরও ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৪ জন।
শনিবার করোনাভাইরাস নিয়ে অনলাইনে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জনের পরীক্ষা আইইডিসিআরে হয়েছে। আরেকজনের বাইরে হয়েছে। এটা পুনরায় আইইডিসিআরে পরীক্ষা করা হবে। তবে তার আগ পর্যন্ত তাকে আক্রান্ত ধরেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা হিসাব করা হচ্ছে। নতুন ৯ জন নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।
ডা. ফ্লোরা আরও জানান, সর্বশেষ যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিলেন। আরেকজন আগেই শনাক্ত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৯০ বছর ও আরেকজনের ৬৮ বছর।
তিনি জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া ৯ জনের মধ্যে দু’জন শিশু, যাদের বয়স ১০ বছরের কম। অন্যদের মধ্যে তিনজনের বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৫০-৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ও একজনের বয়স ৯০ বছর। এই ৯ জনের মধ্যে পাঁচজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন, দু’জন ছিলেন প্রবাসীর সংস্পর্শে। বাকি দু’জনের সংক্রমণের ইতিহাস জানা যায়নি।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া আরও চারজন সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার পরীক্ষা করে তাদের কারো দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ তারা এখন পুরোপুরি সুস্থ।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত যে ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩০ জন। আর এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ২০ জন এবং বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ৯২৯ জনের। আর বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৮৩ জনে। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৯ জন।