অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। থাইল্যান্ড ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘আমফান’।
প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তরমুখী হলেও পরে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগোবে। এখনো পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে মঙ্গল-বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ‘আমফান’ আছড়ে পড়তে পারে। খবর আনন্দবাজারের।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আমফান বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৮০ শতাংশ। বর্তমানে নিম্নচাপটির যে গতিমুখ রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথ নির্দেশ করছে। তবে গতিপথ যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে। আর যে গতিতে এগোচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মের দিকে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামীকাল রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ংকর রূপ নেবে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি পৌঁছে যেতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার। স্থলভাগের দিকে যত এগোবে, তার গতি কিছুটা কমবে। তবে আছড়ে পড়ার সময় আমফান কতটা শক্তি বাড়াবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এক হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দিঘা থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
ভয়ংকর রূপ নিয়ে ‘আমফান’ উপকূলে আছড়ে পড়ে, তা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে চাষের। একে করোনার জেরে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তার উপরে ‘আমফান’ যদি সরাসরি ছোবল মারে উপকূল এলাকায়, তা হলে সংকট আরও বাড়বে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর গতিপ্রকৃতিও ঠিক একই রকম ছিল। ওড়িশার পারাদ্বীপের কাছ থেকে বাঁক নিয়ে এ রাজ্যের কান ঘেঁষে সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। ‘আমফান’ পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে, নাকি বুলবুলের পথেই সে যাবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।