আবু ছালেক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় প্রভাষ ঘোষ( ৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে বলছেন এলঅকাবাসী।
দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ফিংড়ীতে সন্ধার পর থেকে তাণ্ডব শুরু করে। প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড়ট। যার ফলে এল্লারচর, শিমুলবাড়িয়া, ফয়জুল্লাপুর, বালিথা, ফিংড়ী, গোবিন্দপুর, গাভা,ব্যাংদহা, জোড়দিযা, গোবরদাড়ী, হাবাসপুর, কুলতিয়া, সুলতানপুর, জিফুলবাড়ী, মির্জাপুুরসহ সকল এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে ঘরবাড়ি ভেংগে গেছে, ভেংগে পড়েছে অশংখ্য গাছগাছালি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দোকানের টিনের চাল উড়ে গেছে, মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ঘের জলাশয়ের বাসাগুলো। ভোরে রাস্তা পার হতে পারেনি কেউ। রাস্তার উপর গাছ আর গাছ, কি করে পার হবে রাস্তা এমন দৃশ্য এই প্রথমবার দেখা গেল।
স্থানীয়রা বলছেন, কুলতিয়া গ্রামের উপেন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র প্রভাষ ঘোষ( ৪৫) প্রচন্ড বেগে যখন চলছিল ঝড় ঠিক সেই সময় গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করার সময় ঘরের খোলা পড়ে নিহত হয়। প্রভাষ ঘোষের শরীরে কোন ক্ষতচিহ্ন পাওয়া না যাওয়া কেউ কেউ বলছেন, ঝড়ের প্রকোপের মধ্যে পড়ে হার্টস্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রভাষ ঘোষের বাড়ির লোকজন গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে গিয়ে আর ফিরে না আসায় খোঁজ করতে যেয়ে দেখতে পায় প্রভাষের মৃত দেহটি গোয়াল ঘরের পাশে পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে প্রভাষের মৃত দেহটি উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলতিয়া শ্বশ্মানে প্রভাষের মৃতদেহকে দাহ্য করা হয়েছে।
ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুর রহমান এবং ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর মহাদেব চন্দ্র ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট