কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : “বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কালিগঞ্জে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের উদ্যোগে শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সমবায়িদের মাঝে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। দিবসটি যথাযথ ভবে পালনের লক্ষ্যে অতিথিবৃন্দ শুরতে জাতীয় পতাকা ও সমবায়ি পতাকা উত্তোলন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, গোবিন্দকাটি পোল্ট্রি খামার মালিক সমিতির সভাপতি সমবায়ি দিলিপ সরকার, সমবায়ি আবু সাইদ প্রমুখ। বন্ধন সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খান তৈয়েবুর রহমান। এসময় বক্তগন বলেন, একটি মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে ১৯৭১ সালে। তবে আর একটি যুদ্ধ আমাদের করতে হবে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সেটি হলো সমবায়। শুধুমাত্র দরকার একটি শক্তিশালী নাগরিক প্লাটফাম। সে জন্য বাজার ভিত্তিক সমবায় মার্কেট তৈরীর করতে হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের বিকল্প নেই। সমবায়ের চেতনা সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা ও ভাগ্যোন্নয়নের নীতিতে বিশ্বাস করে। ইতিমধ্যে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র্য নিরসনে সমবায় আন্দোলন লক্ষ্য অর্জন করেছে। মানুষের মাথাপিছু জমি ও সম্পদের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। তাই কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে পূঁজি গঠনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উপজেলা সমবায় কার্যলয়ের অফিস সহকারী আব্দুস শুকুর খান এর তত্বাবধায়নে আলোচনা সভা শেষে উপজেলার ৩ শ্রেষ্ট সমবায়ি ও ১২টি শ্রেষ্ট সমবায় সমিতিকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট