স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালের নাস্তায় সুষম খাবার না খেলে ওজন বাড়তে পারে। নাস্তা স্বাস্থ্যকর হলে দিনভর কাজ করেও শরীর ক্লান্ত হয় না, ক্ষুধাও কম লাগে।
সকালের নাস্তায় সুষম খাবার রয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে। যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ও ‘চিয়ারফুল চয়েস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাকেঞ্জি বার্গেস বলেন, সকালের নাস্তায় তৃপ্তি করে না খেলে ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা বাড়ে, যা দিনের অন্যান্য সময়ে খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আর খাওয়ার পরিমাণ বাড়া মানেই অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ।
সকালের নাস্তায় প্রোটিন রাখার চেষ্টা করুন। যেমন- দুটি কলার সঙ্গে ‘নাট বাটার’ হতে পারে দারুণ প্রোটিনের উৎস । এছাড়া সিদ্ধ ডিমও খেতে পারেন।
সকালের নাস্তা কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে ‘দি টোটাল বডি ফাংশনাল প্রোগ্রাম’য়ের লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিষয়ক প্রশিক্ষক অ্যাডি ও’নিলের পরামর্শ হচ্ছে- সকালে অতিরিক্ত চিনি ও ‘স্যাচুরেইটেড ফ্যাট’ যু্ক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, পূর্ণ শস্যের খাবার খাওয়া উচিত, যা সারা দিনের বিপাক কার্যক্রমকে চালু রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, দিনের শুরুতে শুধু কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করলে সারাদিন ক্ষুধার্ত বোধ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ মলি কিম্বাল বলেন, সকালের নাস্তায় শুধু কার্বহাইড্রেট গ্রহণ করাটা তৃপ্তিদায়ক নয়। এতে সারা দিন ক্ষুধা লেগেই থাকে।
কাজের ব্যস্ততার কারণে তাড়াহুড়ো ও সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর জন্য সকালে অনেক দিনই হয়তো খাওয়া হয় না। এতে দুপুর কিংবা রাতে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। ফল ওজন বৃদ্ধি।
‘দি ডিশ অন নিউট্রিশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ স্যান্ডি ইওনান ব্রিখো বলেন, সকালে যদি খিদা অনুভব না হয়, তবে এমন হালকা কিছু খান যা অন্তত আপনাকে দুপুর পর্যন্ত কিছু খাওয়ার কথা মনে করাবে না।
সকালের নাস্তায় প্রোটিন রাখার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইজেড কেয়ার ক্লিনিকের চিকিৎসক শ্যানন হেনরি, যা সারাদিন পেট ভরা অনুভূতি দেবে। ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হবে ও ওজন কমবে।