নিজস্ব প্রতিনিধি : শালিশের মাধ্যমে আদায় করে দেওয়া টাকা পুনরায় ফেরত চেয়ে খুন জখম ও মারপিটের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। যদিও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা।
ভুক্তভোগী ধুলিহর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গী গ্রামের আনারুল ইসলাম জানান, তার পুত্র ইসমাইল হোসেনের যুগিপোতা গ্রামের আলানির পুত্র হেপির সাথে টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধ হয়। একপর্যায়ে তার পুত্র ইসমাইল হোসেনের ২১ হাজার টাকা পাওয়া থাকলেও হেপি টাকা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। এবিষয়ে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে তিনি উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে হেপির কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে দেন। কিন্তু পরের দিন পুনরায় ওই টাকা ফেরত দিতে বলেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করেন। এর জের ধরে গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বড়দল বাজারে আনারুল কে দ্রুত টাকা না দিলে হাত পা ভেঙে দেওয়া সহ বাজারে উঠতে দেওয়া হবে না মর্মে চেয়ারম্যান বাবুর সহযোগী বড়দল গ্রামের শওকত আলীর পুত্র বাবু, কুদু হাজীর পুত্র জয়নাল ও আফসারের পুত্র আবুল হোসেন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী আনারুল বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন শালিশের নামে ইউনিয়নের মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
তিনি তার পাওনা টাকা উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানার সাথে যোগাযোগ তিনি হুমকি ধামকি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তদন্ত করলে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে। আসলে যার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে। সে দোষী না যেটা পরবর্তীতে অবগত হয়েছি যে কারণে আনারুলকে হেপির টাকা ফেরত দিতে বলেছি।
হুমকিদাতা বাবু‘র সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট