দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে বাটার এক জোড়া জুতা কিনেছিলেন নুজহাতুল হাসান। কেনার পরের দিনই তা ছিঁড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন নুজহাতুল।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের একটি বিক্রয় কেন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রিনা বেগম।
নুজহাতুল হাসান নামের এক ভোক্তা লিখিত অভিযোগে জানান, রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন এলাকার একটি বাটার বিক্রয় কেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে এক জোড়া জুতা কেনেন তিনি। পরের দিনই জুতা ছিড়ে যায়। এরপর তিনি ওই বিক্রয়কেন্দ্রে গেলে দোকানের লোকজন তাঁকে নতুন জুতা দেননি বা ঠিক করে দেননি। এই কারণে তিনি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করে বলেন, ‘বাটা কোম্পানি আমাকে নিম্ন মানের জুতা দিয়ে প্রতারণা করেছে।’
সহকারী পরিচালক রিনা বেগম জানান, ভোক্তার অভিযোগের সঠিক কোনো জবাব দিতে না পারায় বাটা কোম্পানির ওই শোরুমকে জরিমানা করা হয়।
প্রতিষ্ঠান তো কোনো ধরনের সেবার প্রতিশ্রুতি গ্রাহককে দেয়নি, তাহলে জরিমানা করা হলো কিসের ভিত্তিতে এমন প্রশ্নের জবাবে রিনা বেগম বলেন, ‘এত দামি জুতার তো নিম্নতম একটা মান থাকতে হবে। আর এ ভোক্তা যে পণ্য ক্রয় করেছে তা তো সে ব্যবহার করতে পারেনি। এটা ভোক্তা অধিকারের পরিপন্থী।’