অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল হসপিটাল এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ট্রাস্ট্রি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তারই একমাত্র মেয়ে ডা. ম্যান্ডী করীমকে। বাবার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রয়াত ডা. এম আর খানের মেয়ে ম্যান্ডি কারীম।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ম্যান্ডি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট্রাল হসপিটাল এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ট্রাস্ট্রি থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাবার ৫৩ হাজার শেয়ার ও আমার নয় হাজার শেয়ার থাকলেও হাসপাতলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। শুধু হসপিটাল বা ইউনিভার্সিটি না, সাতক্ষীরায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিরও কোনো ভোগ-দখলের সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাকে। সম্পত্তির দাবি করলেই প্রাণনাশের হুমকি দেন চাচাতো ভাই ইকরাম কবির খান এবং আমাকে দেশত্যাগের জন্য বাধ্য করা হয়। এসব সম্পত্তি ফিরে পেতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ম্যান্ডি কারীম বলেন, আমার বাবা যখন হাসপাতালে মৃত্যু পথযাত্রী তখন গাজী সেলিম নামে এক ব্যক্তি চক্রান্ত ও জালিয়াতি করে ইউনিভার্সিটির সব ধরনের রেজুলেশন, ডকুমেন্টস এবং ট্রাস্টি বোর্ডের তালিকা থেকে আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে দেন। আমার বাবা এবং ট্রাস্টিবোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সই জালিয়াতি করে তিনি এ কাজ করেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে আমার বাবার জমানো এফডিআরের টাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে ব্যাংকের জমা দেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সারাজীবন তার শিশুসুলভ মন নিয়ে এ দেশে অভাগা মানুষের পাশে ছিলেন। সাহায্য করেছেন অসংখ্য অসহায় মানুষকে। আমি তার সেই স্বপ্ন ধরে রাখতে চাই। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে কোনোভাবেই আমার বাবার স্বপ্নগুলো ও কঠোর প্ররিশ্রমকে বিফলে যেতে না দেয়। এজন্য দুষ্টু চক্র থেকে আমাকে এবং আমার বাবার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. ম্যান্ডি করীমের স্বামী রেজা করীম, নাট্য অভিনেতা মামুনুর রশিদ এবং তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তামাম রহমান প্রমুখ।