সেলিম হায়দার, তালা: ভারি বর্ষণে তালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ১০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা তালা উপজেলার জনজীবন। স্থবিরতা বিরাজ করছে কর্মময় জীবনযাত্রায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও চাকুরিজীবী মানুষরা পড়েছে বিপাকে। বিপর্যয়ে পড়েছে নিন্মাঞ্চলের মানুষরা। ভেসে গেছে হাজারো মানুষের মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
পানি নিষ্কাশনে সোমবার সকাল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন, তালা থানার ওসি মো. ছগির মিঞা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহাফুজুর রহমান ও স্ব -স্ব ইউনিয়নের চেয়াম্যানেদের সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানের ড্রেন থেকে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করেন।
এর মধ্যে সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, তার ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া, বারুইহাটি, খানপুর, জেয়ালানলতা, কেসমতঘোনা, শাহাপুর, মুড়াকুলিয়াসহ ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, অতিবর্ষণে তার ইউনিয়নের কানাইদিয়া, কৃষ্ণকাটি, চরকানাইদিয়া, জেঠুয়া, নেহালপুর, জালালপুর, শ্রীমন্তকাটি ও দোহার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদ দিয়ে পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দি, গোনালীসহ কয়টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ইসলামকাটিইউনিয়নের খরাইল, ভবানিপুর, কাজিডাঙ্গা, বারাত, গাপালপুর, নারায়নপুর, ঘোনা, ঢেমশাখেলা, গনডাঙ্গাসহ প্রায় ১২ টি গ্রাম প্লাবিত। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াপাড়া, কলাপোতা, তেঁতুলিয়া, দেওয়ানীপাড়া, শিরাশুনিসহ উপজেলার প্রায় অন্তত ১০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করছি এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট