আগামী চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘টাওয়ার ভেঙে যাওয়া, ১০টি পাওয়ার প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণে থাকা ও গ্যাসের স্বল্পতার কারণে চাহিদামতো বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী চার দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসবে। এতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা সভা শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা উচিত। লোড ম্যানেজমেন্টে লোডশেডিং সমানুপাতিক হারে করতে হবে।’ গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানের আওতায় অ্যাকশন প্ল্যান নির্ধাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিতরণ সংস্থার ডিমান্ড (চাহিদা) অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা প্রয়োজন। লোডশেডিং করতে হলে আগেই গ্রাহকদের জনাতে হবে।’
রোজার সময় সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার এবং মন্ত্রণালয় থেকে এসব কাজ পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া, উন্নত ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে বিতরণ সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য যুগ্ম সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন এবং এলএনডিসি বিতরণ সংস্থাগুলোকে কিভাবে, কী পরিমাণ বিদ্যুৎ দিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য যুগ্ম সচিব এ কে এম হুমায়ুন কবীরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়