নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শীর্ষ চোরাকারবারি হাফিজুর রহমান মন্টু ওরফে হাজী মন্টু ওরফে ব্লাকার মন্টুকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।
আটক চোরাকারবারি হাফিজুর রহমান মন্টু সাতক্ষীরার হাড়দ্দাহ এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। সে জেলার শীর্ষ চোরাকারবারিদের মধ্যে একজন। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক মমালা রয়েছে।
একাধিক নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কুখ্যাত চোরাকারবারি মন্টুর শশুর বাড়ি ভারতের বসিরহাটের হিঙ্গোলগঞ্জে হওয়ায় সে সেখানকার নাগরিক আবার এদেশেরও নাগরিক। এছাড়া গ্রেফতার এড়াতে মন্টু বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে অবৈধ টাকার বিনিময়ে সখ্যতা রেখে চোরাকারবার চালিয়ে আসছে বহুদিন ধরে।
এদিকে, গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মন্টুকে ছাড়িয়ে নিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি দৌড়ঝাঁপ করেও ব্যর্থ হয়। এর আগে কুয়াকাটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের বয়ারচর এলাকায় কোস্ট গার্ডের হাতে ট্রলার ভর্তি ১০ কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় থ্রি-পিচ ও শাড়ী সহ আটক হয় হাজী মন্টু ও তার ভাই নৌকার মাঝি রবিউল।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, গত ২৪ মে ভারতে পাচার কালে সাতক্ষীরার আলিপুর থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার পিস বাংলাদেশের সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রন সুখি ট্যাবলেট আটক করা হয়েছিল সে সময় দুই জনকে আটক করা গেলেও পালিয়ে যাই কুখ্যাত চোরাকারবারি মন্টু। ওই ঘটনার পর থেকে বহুদিন যাবত আতœগোপনে থাকার পর শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মন্টুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জাানান তিনি। তাকে আজ রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।