দেশের খবর : অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অচলঅবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পশুবাহী ট্রাক, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৮ শতাধিক যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাকগুলো। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো।
শনিবার সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাড়কের পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস, পশুবাহী ট্রাক রয়েছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফেরিঘাট এলাকা সচল রাখতে ব্যাক্তিগত প্রাইভেটকার গুলোকে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ফেরিঘাটে আসার ব্যবস্থা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩ কিলোমিটার এলাকায় অপচনশীল দ্রব্যের ট্রাকগুলোকে আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে পড়া ট্রাক চালক মো. আলম মিয়া বলেন, আমরা ১৪ তারিখ (বুধবার) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ মোড়ে আসলে পুলিশ আমার গাড়িকে আটকে দেয়। সেইদিন সন্ধ্যা থেকে এখানেই আটকে রয়েছি। কবে যেতে পারবো সেকথা জানতে পারছি না। তবে এবারে পুলিশি ব্যবস্থাপনা ভালো রয়েছে।
গোয়ালন্দ ফেরিঘাট এলাকায় আসা পশুব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়া বলেন, আমরা ৯ ঘণ্টা ধরে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের ফেরিতে উঠতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। ফেরি সংকটের কারণে এই অচলঅবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে পড়া বাসচালকরা বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আমাদেরে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হচ্ছে। বার বার ঢাকা থেকে ফোন করছে দ্রুত সময়ে আসার জন্য। সেখানে সিডিউল ঠিক না রাখার জন্য আমাদের অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছে। আমাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃৃৃপক্ষ দৌলতধিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে একটি ফেরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তিনি বলেন স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।