প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করায় সামাজিক সুনাম নষ্ট করতে প্রতিপক্ষ কর্তৃক যুবলীগ নেতা লিটনের বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে মুরশিদ আলী এই অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দুই বোন নুরনাহার ও নুর জাহানের সাথে আমদের বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রথমে সদর থানায় এবং পরবর্তীতে আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মাহমুদ হোসেন লিটনের স্বরনাপন্ন হই আমরা। বোনেরা আদালতের মামলা তুলে নিবে এই শর্তে পুলিশ যুবলীগ নেতা লিটনের মধ্যস্ততায় শালিস করে মিমাংসা করেন। কিন্তু মামলা তুলে না নিয়ে গত ১৬ আগষ্ট স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধন ও সহযোগিতায় পাটকেলঘাটার তৈলকুপি গ্রামের মৃত. আবু তালেব সরদারের ছেলে ভুমিদস্যু কাদের, ভাগ্নে আব্দুস সাদেক, বোন নুর জাহান ও নুর নাহার ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে উক্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এসময় বাধা দিতে গেলে উল্লেখিতরা আমার স্ত্রী জেলেখা খাতুন, প্রতিবন্ধী ছেলে মাসুদ রানা ও বৃদ্ধা মা’কে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে মাহমুদ হোসেন লিটন এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের হাত থেকে আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ছাড়া সেখানে লিটনের কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। এঘটনায় আমরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমরা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী ছেলে তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এছাড়া বৃদ্ধা মাতাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয়। মুরশিদ আলী আরো বলেন, জমির বিষয়টি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলাম। লিটন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটি সমাধান করেও ফেলেছিলেন। কিন্ত লিটনের নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা এবিষয়টিকে পুঁিজ করে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এবং তার দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে আমার প্রতিপক্ষ কাদের কে ব্যবহার করে লিটনের বিরুদ্ধে মিথ্যোচার করে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা গত ১৯ আগস্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে কাদের এর কাছে চাঁদা দাবি করেছে মর্মে অভিযোগ তোলে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। লিটন একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ এবং পর উপকারী নেতা। আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবেই প্রায় মিমাংসার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন। এটি এলাকার কুচক্রী মহলের সহ্য না হওয়ায় তারা তাকে হয়রানি করতে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যেচার করেছেন। বিশেষ করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বর প্রার্থী ঘোষনা দেওয়ার পরই ওই কুচক্রী মহলটি লিটনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছ। এলাকায় মানুষের বিপদে লিটন ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। আমি তার বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যেচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি যুবলীগ নেতা লিটনের মত একজন স্বচ্ছ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যোচারের ঘটনায় জড়িত কাদের গংয়ের শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।