স্বাস্থ্য ও জীবন: মজবুত, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নানা কারণে আমরা যেমনটা চাই আমাদের চুলের গঠন তেমন হয়ে ওঠে না। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার খুব সাধারণ একটি সমাধান রয়েছে। তা হলো, চুলের যত্নে ভালো তেল ব্যবহার করা।
চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে তাহলে আর দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে কয়েকটি প্রাকৃতিক তেলের তালিকা।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ যা চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে এতে ভিটামিন বি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। নারকেল তেল ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ এবং চুলের জন্য পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী তেল। চুল এই তেল ভালোভাবে শুষে নিতে পারে। এর ফলে এই তেলের কার্যকারিতাও বেশি।
অলিভ ওয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম অলিভ অয়েল চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে দু-তিন ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করুন। এর ফলে চুল হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
সূর্যমুখী তেল
তৈলাক্ত চুলের জন্য এই তেল খুব উপযোগী। এই তেল অনেক হালকা হওয়ার কারণে চুলে ম্যাসাজ করলে, তেলতেলে হয় না। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বিভিন্ন তেল চুলে লাগিয়ে যত্ন নিন। তবে কখনোই চুলে তেল লাগিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়বেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল আরো বেশি পড়তে পারে।
অ্যাভোকাডো তেল
অ্যাভোকাডো তেল অন্যান্য তেলের মতো এত সহজলভ্য নয়। কিন্তু এই তেল ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’-সমৃদ্ধ। অ্যাভোকাডো তেলে ময়েশ্চারাইজিং রয়েছে, যা ভঙ্গুর চুলের সমাধান করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য বেশ উপকারী।