নিজস্ব প্রতিনিধি :
আধুনিক মডেল কেরালকাতা ইউনিয়ন বিনির্মানের লক্ষে, ইউনিয়নের মানুষের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সরদার আমজাদ হোসেন।
কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবিরাম ছুটে চলেছেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ইউনিয়নের প্রবীন মানুষের দোয়া নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
লক্ষ্য একটাই দীর্ঘদিন অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত কেরালকাতা ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নের রূপান্তর করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দেওয়া।
এছাড়া ইউনিয়নের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, অসহায় দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতেও ইউনিয়নের মানুষের জন্য তার ভূমিকা ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।
সরদার আমজাদ হোসেন কেরালকাতা ইউনিয়নের মৃত. দাউদ আলী সরদারের পুত্র। তিনি কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে পদার্পণ করেন। পরে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির শিক্ষা মানব সম্পদ বিষয়ক সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কেরালকাতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আলতাফ হোসেন বলেন, সরদার আমজাদ একজন নির্লোভ, স্বচ্ছ, সৎ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তিনি কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করলেও ইউনিয়নের মানুষের যে কোন বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন। বিশেষ করে ঢাকায় চিকিৎসা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ামানুষের পাশে দাড়িয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন।
তার মত একজন শিক্ষিত মার্জিত ব্যক্তি দলীয় মনোনয়ন পেলে অবশ্যই ইউনিয়নের চিত্র বদলে যাবে।
৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, একজন স্বচ্ছ নির্লোভ মানুষকে এখানেই খুবই দরকার। সরদার আমজাদ একজন স্বচ্ছ এবং ত্যাগী, কর্মীবান্ধব আওয়ামী নেতা। তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবিষয়ে সরদার আমজাদ হোসেন বলেন, টুঙ্গিপাড়া খ্যাত কেরালকাতা ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সেবার দ্বার উন্মুক্ত করলেও এখানকার মানুষ সঠিকভাবে সেবা পায় না। জননেত্রীর সর্বোচ্চ সেবা ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে দিতেই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আমি জন্মগতভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি এবং আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি। সে কারনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবা করার সুযোগ দেবেন বলে আশা করি। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নেবো এবং তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয়ে সচেষ্টা থাকবো।