নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গায় একটি কুচক্রী মহল কর্তৃক বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, কলারোয়া উপজেলার শাকদহা গ্রামের মৃত আতর আলী খানের পুত্র ও বর্তমান চেয়ারম্যান ভুক্তভোগী আসলামুল আলম খান।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন এবং হয়রানির ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এর জের ধরে গত ২৩/১০/২০২১ তারিখে কলাটুপি গ্রামের মৃত. ছমেদ সরদারের পুত্র বাবর আলী আমার প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ
সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বাবর আলী তার পুত্রের চাকুরি দেওয়ার নামে আমার কাছে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার যে অভিযোগ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বাবর আলীর কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ করিনি। যে স্কুলের চাকুরি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে আমি সে স্কুলের সভাপতি ছিলাম না। তাহলে আমার কাছে কেন টাকা দেবেন ? গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগ কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন।
এতে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা অধমার উপর ক্ষিপ্ত
হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
কিন্তু নির্বাচনে নৌকার জনপ্রিয়তার কাছে অনেক ভোটে তারা পরাজিত হন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে নৌকার সকল বিদ্রোহী প্রার্থীরা যৌথভাবে চক্রান্ত
চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময় থেকে বাবর আলীকে ওই সকল প্রার্থীরা তুরুপের তাস
হিসেবে ব্যবহার করেন আমার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দেওয়াসহ নানাভাবে
হয়রানি করে যাচ্ছেন। অথচ বাবর আলীর সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই।
ওই বাবর আলী আমার বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়াটারে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে তৎকালিন সহকারী পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার তদন্ত করেন। কিন্তু তদন্তের বাবর আলীর অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি।
শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে নয় এলাকার বহু মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সম্মান হানি করেন বাবর আলী। পানিকাউরিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক আলমগীরের বেতনের টাকা অন্য শিক্ষকরা উত্তোলন করেন। পরে অভিযোগ দেওয়ার পূর্বেই উত্তোলনকৃত সমূদয় টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়
শিক্ষকরা। এতে আমার কোন ভূমিকা বা সম্পৃক্ততা ছিলো না। তারপরও আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভুক্তভোগী আলমগীর জবাব দিয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিধবা, মাতৃভাতা, ভিজিডি এবং প্রতিবন্ধীভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এর কোন প্রমান বাবর আলী কেন কারো কাছে নেই। কারন গরিবের অর্থ মেরে খাওয়ার চেয়ারম্যান আমি নই। আমি স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ আমি ভোগ করি। এছাড়া নিজের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসার টাকা দিয়েই
আমি সমাজে সম্মানের সাথে চলাফেরা করি। ফলে কোন অনিয়ম দুর্নীতি আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় নৌকার ওই সব বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মামলাবাজ বাবর আলীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##