শিক্ষা ডেস্ক : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। সারাদেশে ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে।
এবার ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৯৮ জন। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন। ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা দিচ্ছেন।
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি। এবার বিদেশে ৯টি কেন্দ্রে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
প্রতিদিন দুই শিফটে হবে এবারের পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা। পরীক্ষা ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে হচ্ছে দেড় ঘণ্টা করে।
প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় অংশের মাঝে বিরতি থাকবে না। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য দেড় ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত করেছে আগেই। সূচি অনুযায়ী, আজ পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) বিষয়ের পরীক্ষা। ২৩ নভেম্বর পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি এবং ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে।
পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর এবং ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের একই সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে আনা হয়েছে।
সাধারণ বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ নম্বর শুরু হয়ে ২৩ নভেম্বর শেষ হবে। মাদ্রাসা ও ভোকেশনালের পরীক্ষা ১৪ নম্বর শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর শেষ হবে।