আরাফাত হোসেন লিটন : ভিক্ষুক শ্রেণির মানুষদের অবহেলা না করে আলাদা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশকে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার দেশ গড়তে হবে। সমাজের নি¤œ পেশার মানুষ হলেন ভিক্ষুকরা। কর্মদক্ষতা না থাকায় কিংবা নানা সমস্যায় মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় নিয়োজিত হয়। সমাজের মানুষের কাছ থেকে চেয়ে এনে খুবই নি¤œমানের জীবন যাপন করেন এই পেশার মানুষেরা। তারা সামাজিক মূল্যহীন ভাবে অবহেলায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেন। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ভিক্ষুকদের তালিকা হয়েছে। একই সাথে তাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তনেও সরকার বিভিন্ন মেয়াদী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। সেই সাথে ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে ফিরিয়ে এনে কর্মস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। তাছাড়া সরকারের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দেশ থেকে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে। এই সুবিধাভোগীরা আর যেনো কখনো ভিক্ষা না করেন সে ব্যাপারেও সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন। অচিরেই সরকারের সকল মহান উদ্যোগ বাস্তাবায়ন হবে। উপজেলার ২নং পারুলিয়া ইউনিয়নের সকল ভিক্ষুকদের সাথে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল-আসাদ।
সোমবার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। পারুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইউপি সচিব প্রবীর হাজারীর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনেট্রাক্টর সাইদুল হক, একটি বাড়ি একটি খামারের ফিল্ড সুপারভাইজার আজহার উদ্দীন ও সালমা খাতুন, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য বানু আল কাদেরী, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নারগিছ পারভীন, ৭, ৮ ও ৯ নং হামিদা পারভীন, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য সাহেব আলী, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম ফারুক, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সালাউদ্দীন সারাফি, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজুল ইসলাম, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল্লাহ গাজী, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়ামিন মোড়ল, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মোকারম হোসেন। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা সকল ভিক্ষুকদের দক্ষতা অনুযায়ী চাহিদার কথা শোনেন। একই সাথে আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ভিক্ষুকমুক্ত করতে প্রত্যেকের মতামত গ্রহন করেন। ভিক্ষুকরা সরকারি সহায়তা পেলে ভিক্ষা পেশা ছেড়ে দেবেন বলেও অঙ্গিকার করেন। ইফতার মাহফিলের দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাঝ পারুলিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবু তাহা গিয়াস উদ্দীন নূরী।
পূর্ববর্তী পোস্ট