দেখতে আসল, কিন্তু নকল। চালে কাঁকর হাতে নিয়ে বোঝা গেলেও, প্লাস্টিকের চাল দেখে কিছুই বোঝার উপায় নেই। মাঝখান থেকে ঠকছেন ক্রেতারা। নিত্যদিনের ভাতের বদলে গিলতে হচ্ছে বিষের পিণ্ড৷ উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি জেলায় খোলা বাজারে নাকি রমরমিয়ে চলছে এই প্লাস্টিকের চালের ব্যবসা। প্লাস্টিকের ডিমের পরের ধাপে এবার প্লাস্টিকের চাল৷ প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু মিশিয়ে নাকি তৈরি হচ্ছে এই চাল৷
বাজারে কম দামে ভালো চাল পেয়ে পাল পরিবার একলপ্তে অনেকটা কিনে ফেলেন৷ কিন্তু ভাত মুখে তোলার সময় সন্দেহ হয়। দেখতে বাসমতির মতো, অথচ গন্ধ নেই। তার পর দেখা গেল, আগুনে পুড়লে ভেজাল বাসমতি ছোট হয়ে যাচ্ছে, জলে দিলে পচা চালের মতো ভেসে উঠছে৷ অথচ সেই বিষ দিব্যি বিক্রি হচ্ছে বাজারে৷ ‘কওন ছোড়েগা ভেজাল ভাইয়া, ভেজাল সে হ্যায় ফায়দা!’
হলদোয়ানির জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কে কে মিশ্রর বক্তব্য, খাদ্য সুরক্ষা সংস্থা এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তদন্তে নেমেছে৷ অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বিষ ক্রমাগত পেটে গেলে নিদারুণ অ্যাসিডিটি থেকে মৃত্যু ঘনিয়ে আসতে খুব বেশি দেরি লাগবে না৷
কিছু দিন আগে প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে কলকাতায় তোলপাড় হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া মনোভাবে বন্ধ করা গিয়েছিল সেই প্লাস্টিকের ডিমের ব্যাবসা। এবার একই ধরনের ঘটনা উত্তরাখণ্ডেও ঘটল। প্লাস্টিক ডিমের বদলে সেখানে বাজারে দাপাচ্ছে প্লাস্টিকের চাল। বারংবার ভেজালের বিভীষিকায় আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ প্রশাসনের একাধিক অভিজ্ঞ আধিকারিকের মতে, চীন থেকেই চোরাপথে ভারতে ঢুকছে এই প্লাস্টিকের ডিম এবং চাল৷ সূত্র-কলকাতা ২৪