আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরায় হারিয়ে যাওয়া ৫৫ টি মোবাইল উদ্ধার করে তা স্ব স্ব মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশ। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক উদ্ধার হওয়া এসব মোবাইল বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এনিয়ে গত ১০ মাসে ৩৭৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান ইকবাল হোসেন,
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ মোবাইল মালিকরা।
পুলিশ সুপার মোস্তাাফিজুর রহমান এ সময় বলেন, দেশে প্রথম হারানো মোবাইল উদ্ধারের পর মালিকের কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। যে উদ্যোগ দেখে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ এ কার্যকক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, মানুষকে সতর্ক করতে জেলা পুলিশ এ উদ্যোগ নিয়েছে। আইন অনুযায়ী মোবাই ফোন উদ্ধার করতে গেলে তার মালিককে মামলা করতে হবে। পুলিশ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মোবাইল ফোনটি আদালতে প্রেরণ করবে। মালিক আদালত থেকে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে নেবে। এই পক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ফোন ফিরে পেতে অনেক সময় লাগে। যেকারণে সতর্কতার জন্য জেলা পুলিশ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মোবাইল ফোন উদ্ধারের পাশাপাশি বিকাশে প্রতারণার মাধমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার,
ফেসবুকে প্রতারণাসহ সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক আন্তরিক হয়ে জনগণকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। মোবাইল উদ্ধারের পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
মোবাইল মালিকরা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত পেয়ে খুব খুশি হন। এতে জনগণের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা দিন দিন আরও বাড়ছে। উক্ত অনুষ্ঠান থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৫টি মোবাইল ও ৫১ হাজার টাকা প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের প্রধান ইকবাল হোসেন জানান, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১০ মাসে মোট ১ হাজার ৫৫ টি জিডির বিপরিতে ৩৭৪ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যার অনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা। এখনও অনেক মোবাইল ফোন উদ্ধার চলমান রয়েছে। এছাড়াও বিকাশের মাধ্যমে চলে যাওয়া প্রায় ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।##