নিজস্ব প্রতিনিধি :
পুরাতন সাতক্ষীরা ঘুড্ডেরডাঙ্গী এলাকায় শত্রুতা মূলকভাবে ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নেওয়া এবং ১লক্ষ টাকার আম লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১ মে ২২ তারিখে ঘুড্ডেরডাঙ্গী এলাকায় এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের মরহুম আব্দুল গফুর এর পুত্র সিরাজুল ইসলামের ঘুড্ডেরডাঙ্গী এলাকায় ৫ বিঘা জমিতে একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। এছাড়া ঘেরের ভেড়ীতে অনেকগুলো আম গাছ রয়েছে। গত ১০ মে ২২ তারিখে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মশিউর রহমান উক্ত সম্পতি একটি সাইনবোর্ড পুতে রেখে আসে। সাইনবোর্ড পুতে রেখে আসার পরের দিন ১১ মে ঘুড্ডের ডাঙ্গী এলাকার ভুবিন্দ্র নাথ দাসের পুত্র পিন্টু কুমার দাস, মৃত আব্দুর রহমান খাঁ’র জামাতা মনিরুল ইসলাম,
মৃত. মোবারক হোসেনের জামাতা শহিদুল ইসলামসহ কতিপয় ব্যক্তি জাল, দড়া নিয়ে ওই ঘেরে নেমে ঘেরে থাকা গলদা চিংড়ী, রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়।
এতে বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ঘের মালিক সিরাজুল ইসলামের কেয়ারটেকার আব্দুস সেলিমকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
ঘের মালিক সিরাজুল ইসলামের কেয়ারটেয়ার আব্দুস সেলিম জানান, ব্যাংক ম্যানেজার মশিউর রহমান উল্লেখিত পিন্টু কুমার দাস, মনিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামসহ কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে যোগসাজস করে উক্ত ঘেরটি অবৈধ দখলের উদ্দেশ্যে তাদের মাছ ধরে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। সে সময় তারা ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং ১লক্ষ টাকার আম পেড়ে নিয়ে যায়।
এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য পুরাতন সাতক্ষীরা ফাঁড়ি ইনচার্জের উপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু ফাঁিড়র ইনচার্জ বিষয়টি কোন মিমাংসা করেননি বলে জানান তিনি।
উল্লেখিত ব্যক্তিরা ফাঁড়ির অফিসারের কাছে মাছ ধরার বিষয়টি স্বীকারও করেছে বলে জানান তিনি। তিনি এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পুরাতন সাতক্ষীরা ফাঁড়ি ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, উক্ত সম্পত্তি ব্যাংকে মটগেজ রেখে লোন নেওয়া আছে। বিষয়টি আদালতের ব্যাপার আমাদের কিছু করার নেই।