শ্যামনগর প্রতিনিধি :
উপকূল দিবসে জলবায়ু বিপন্ন উপকূল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও ন্যায্যতার দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২নভেম্বর) সকাল ১০ টায় শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুরস্থ আলাউদ্দিন মার্কেটে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বারসিক প্রতিনিধি রুবিনা খাতুন।
উপকূলীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে পিকে এস এফ ও এনজিএফ,পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব, সিডিও ,সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ও বারসিকের সহযোগিতায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাইদ, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর।
উপকূলের কথা তোমরা কি শুনতে পাও না শ্লোগানের বক্তারা বলেন, উপকূল বাঁচলে বাচঁবে দেশ। উপকূলকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হলো ধনী দেশগুলো। কিন্তু দায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশের। কার্বন নিঃসরণ না কমানো যায় তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। এমন ভাবে চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমরা টিকে থাকতে পারবো না।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝুকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী ধনী রাষ্ট্রগুলো জানতে চাই আমাদের দাবী মানতে হবে। আমাদের ক্ষতিপুরন দিতে হবে। প্রানের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে উপকূলের মানুষের অধিকার ও নায্যতার দাবী তুলে ধরতে উপকূল দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে দাবী জানাই উপকূল দিবস কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।
এর আগে উপকূল দিবস উপলক্ষে একটি সুবিশাল র্যালি নীলডুমুর বাজার ঘুরে এসে বনবিভাগ অফিসের পাশে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেন। আলোচনা সভা শেষে উপকূল বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে জারী গান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, উপকূল দিবসে স্থানীয় জনগোষ্টি কয়েকটি দাবী জানান, সেগুলো হচ্ছে ১২নভেম্বরকে উপকূল দিবস ঘোষনা করতে হবে। টেকসই ভেড়ীবাধ তৈরি করতে হবে সেই সাথে বাঁধ তৈরিতে স্থানীয়দের মতামত নিতে হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর নিকট থেকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ আদায় ও কম কার্বন নির্ভর জীবনযাপনে বাধ্য করা। নদী ভাঙন রোধে নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে। উপকূলের উন্নয়নে আলাদা বোর্ড গঠন করতে হবে।