নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোমরায় বিজিবি’র হাতে পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে দুটি অবৈধ মোবাইল জব্দের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক ভারতীয় নাগরিক। নানা কৌশলে মোবাইল দুটি উদ্ধার করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধেও চক্রান্ত চালাচ্ছেন ওই ভারতীয় নাগরিক মোবাইল চোরাকারবারি দেবদাস সরদার। তিনি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মরাহোলদিয়া গ্রামের রবিদাস সরদারের ছেলে।
এঘটনার তদন্তে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি ২৩ তারিখে দেবদাস পাসপোর্টের মাধ্যমে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি দেবদাসের কাছ থেকে নতুন ৪টি ভারতীয় মোবাইল উদ্ধার করে। পরে ২ দুটি মোবাইল বিজিবি জব্দ করে। প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যের খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইল উদ্ধারের জন্য স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ করে দেবদাস। ওই সাংবাদিক মানবিক কারনে সাতক্ষীরার এক সাংবাদিক নেতার সহযোগিতায় বিজিবি’র কাছে অনুনয় বিনয় করে মোবাইল দুটি উদ্ধার করেন। কিন্তু মোবাইল উদ্ধারের দীর্ঘ সময় পার হওয়ার কারনে দেবদাস শ্যামনগরের ভেটখালীতে তার শ^শুর বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন সকালে ওই সাংবাদিকের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করেই সাংবাদিকদের ব্লাক মেইল করার অপচেষ্টা চালায় দেবদাস। বিষয়টি অবগত হয়ে ওই সাংবাদিক নেতা মোবাইল দুটি পুনরায় ভোমরা বিওপি কমান্ডারের কাছে পৌছে দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই ভারতীয় নাগরিক মোবাইল চোরাকারবারি দেবদাস সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এদিকে ভোমরা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ওই দেবদাস চোরাই মোবাইল চক্রের সদস্য। সে নিয়মিত বৈধ পথে ভারতীয় অবৈধ মোবাইল নিয়ে বাংলাদেশে এসে বিক্রয় করে আবার ভারতে চলে যায়। দেবদাসের মোবাইল ভারতীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন উচ্চ পর্দস্থ কর্মকর্তাদের নাম্বার রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন।
এবিষয়ে ভোমরা বিজিবি কমান্ডার আবু তাহের বলেন, শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরার প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহেব নিজে এসে আমার কাছে মোবাইল দুটি জমা দিয়ে গেছেন। আমি সিজারলীস্ট করে হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে দেবদাস নিয়মিত বৈধ পথে ভারতীয় অবৈধ মোবাইল নিয়ে বাংলাদেশে এসে বিক্রয় করে থাকে।