নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’–এই প্রতিপাদ্যে বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার (১ মার্চ) দেশে ৪র্থ বারের মতো উৎযাপিত হয়েছে জাতীয় বীমা দিবস।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। বরাবরের মতো এ বছরেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা।
সরকারি প্রতিষ্ঠান “জীবন বীমা কর্পোরেশন” এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরায় কর্মরত সরকারি বে-সরকারি বীমা কোম্পানির সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নিউ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ।
এসময় সাতক্ষীরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ বীমা শিল্পের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সাধারণ মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কথাই ভাবেননি; ভেবেছেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও। আর তাই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি বীমা খাত সংস্কারে হাত দেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে তিনি ৪৯টি বীমা কোম্পানিকে একীভূত করে গঠন করেন তিস্তা, কর্ণফুলী, রূপসা ও সুরমা এই ৪টি কর্পোরেশন। এরপর ১৯৭৩ সালে পাস করেন বীমা কর্পোরেশন আইন। গঠন করেন জীবন বীমা করপোরেশন এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন নামে ২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সংস্থা দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এই অবদান জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ‘জাতীয় বীমা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে সরকার।
বঙ্গবন্ধু বীমা খাতের সাথে যেভাবে জড়িত, অর্থনীতির আর কোন খাতের সাথে তার এতো বেশি সম্পৃক্ততা । বঙ্গবন্ধু বীমা পেশার মাধ্যমে তার সংগ্রামী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমা খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাতক্ষীরা সেলস্ অফিসের ম্যানেজার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সানা, মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর মোড়ল কামরুজ্জামান, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর মো. রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর আ.দ.ম মাহাবুবুর রহমান, ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর কাজী শফিকুল ইসলাম, এনআরবি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. এর মো. হযরত আলী প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের সাতক্ষীরা কর্পোরেট অফিসের ম্যানেজার ইনচার্জ শেখ রেফাজুর রহমান।