ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার শিমুল ক্লিনিকে ডাক্তার না থাকায় ক্লিনিক মালিক প্রেস্ক্রিপশন করে দিলেন ও ডায়গনস্টিক বাবদ নিলেন ৫ হাজার। রোগী অবস্থা গুরুতর।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) পারভিনা খাতুন ডাক্তার দেখাতে আসলে শিমুল ক্লিনিকের দালালের খপ্পড়ে পড়ে। দালাল ডাক্তার মধু তাকে ভালো মেডিসিন ডাক্তার দেখানোর আশ্বাস দিয়ে সাতক্ষীরা শহরের শিমুল ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ডাক্তার না থাকায় ক্লিনিক মালিক নিজেই প্রেসক্রিপশন করে ৬ হাজার ১শ টাকার ডায়গনস্টিক করিয়েছে।
প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধ লিখেছে তা খেয়ে রোগী আরো অসুস্থ হয়ে যায়।
কলারোয়ার দেয়াড়া বাজারের ভুক্তভোগী পারভিনা জানায়, বুধবার (২৬ এপ্রিল) ডাক্তারের সাথে আবার কথা বলতে চাইলে জানতে পরি, যিনি প্রেসক্রিপশন করেছিল সে ডাক্তার না, ক্লিনিক মালিক। ক্লিনিক মালিক কেন প্রেসক্রিপশন করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে রিসিপশন থেকে জানায়, আপনারা ডাক্তারের ফিস দেন নাই তাই ক্লিনিক মালিক নিজেই প্রেসক্রিপশন করেছে।
আপনারা ৫০০০ টাকা দিয়েছেন ডায়াগনস্টিক বাবদ। ক্লিনিক মালিক ডাক্তার না হয়ে নিজেই প্রেসক্রিপশন করতে পারে কিনা এবং ডায়াগনস্টিক দিতে পারে কিনা প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব ক্লিনিকটি দিতে পারে নাই।
প্রেসক্রিপশনকারি মো. মিঠুনের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি নিজেকে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দাবি করেন। তিনি জানায় রোগী তার মামার মাধ্যমে এসেছে। ঈদের ছুটিতে ডাক্তার না থাকায় তিনি প্রেসক্রিপশন করেছে। তবে, তার প্রেসক্রিপশনে রোগীর ক্ষতি হলে তিনি খরচ বহন করবেন।
ক্লিনিক রিসিপশনে থাকা মো. বিপুল জানিয়েছেন, ডাক্তার না থাকলে তার প্রেসক্রিপশন ও ডায়গনিস্টিক করার বৈধতা তাদের আছে। রোগি ডাক্তারের ফিস দেয়নি বলে তার বড়ভাই মিঠুন প্রেসক্রিপশন করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, সকাল থেকে দালাল মধু ডাক্তার লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে সেই প্রেসক্রিপশন ও ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট ফেরত চাচ্ছে। অশ্লীল ভাষায় কথা বলছে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে।