নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। বুধবার (২৬ এপ্রিল) পিবিআই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলে মামলার ঘটনাটি জানাজানি হয়।
মামলার আসামীরা হলেন, ঢাকাপোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, স্থানীয় দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রতিবেদক হোসেন আলী, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ।
মামলার বাদী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের মৃত. জব্বার সরদারের ছেলে জহুর আলী সরদার। ধারা ৩৪১/৩২৩/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬(২য় অনুঃ)/১১৪ দÐবিধি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী তালার আটারই গ্রামে বাদীর শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার। মামলার আসামীরা বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত ২৭ মার্চ কোম্পানীর সামনে আসামীরা পুনঃরায় চাঁদা দাবি করে ও কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
গত ২ এপ্রিল জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয় মামলাটি। আদালত মামলাটি আামলে নিয়ে পিবিআই সাতক্ষীরাকে আগামী ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেন বিচারক।
ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন জানান, অনুমোদনহীন শপিং ভ্যালি সেমাই কারখানা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর ২৯ মার্চ র্যাব অভিযান পরিচালনা করে। সেমাই কারখানাটির বৈধ অনুমোদন না থাকায় ম্যাজিষ্ট্রেট কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে সেটি কাল্পনিক। সুষ্ঠ তদন্ত করলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ বলেন, বিএসটিআই এর ভূয়া নিবন্ধন ব্যবহারের বিষয়ে আমি প্রতিবেদন করেছি। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার বাদী জহুর আলী সরদার বলেন, আমার কাছে চাঁদা চেয়েছে ঘটনা সঠিক। তার প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে। সেকারণে আদালতে মামলা করেছি।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, কারখানাটির ম্যানেজারের কাছে কেউ চাঁদা চেয়েছে এমন ঘটনা কেউ জানায়নি।
মামলার তদন্তকারী পিবিআই ইন্সপেক্টর রেজা জানান, আদালত থেকে মামলাটি পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি সেখানে কোন ফ্যাক্টরী আদৌ আছে কিনা। তদন্তটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বলার মত কিছু হয়নি। সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে আদালতে। কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেটি বিবেচনায় রেখেই তদন্ত করা হবে।