প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতাসহ অন্য স্বজন কর্তৃক স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও হুমকি ধামকির প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সাংবাদিদের কাছে এ অভিযোগ করেন, পাটকেলঘাটার কেশা গ্রামের রকি সরদারের স্ত্রী মোছা: ঐশী।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি নবমুসলিম।
আমার পিতার নাম উত্তম কুমার ঘোষ, সাং- মির্জাপুর। ছোট থেকেই আমার ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষন ছিলো। এরই মধ্যে পাশ^বর্তী গ্রামের মুসলিম হারেজ সরদারের পুত্র রকি সরদারের সাথে আমার পরিচয় ঘটে। দুজনের মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায়। আমার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় গত ১১/৫/২০২৩ তারিখে খুলনা নোটারী পাবলিক ও হলফকারী কর্তৃপক্ষের কার্যালয় থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য একই তারিখে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী রকি সরদারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। এতে আমার পিতা মাতা এবং অন্যান্য আতœীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে আমার পিতা উত্তম কুমার ঘোষ কৌশলে আমার স্বামীকে আটক করিয়ে কারাগারে পাঠায় এবং আমাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় আমার উপর নির্মম অত্যাচার।
বিশেষ করে দেবহাটা উপজেলার গাজীর হাট এলাকায় বাসিন্দা আমার মামা প্রণব ঘোষ এর বাড়িতে নিয়ে রাখে। সেখানে রেখে আমাকে দফায় দফায় মারপিট করে এবং চাপপ্রয়োগ করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিকে আমার স্বামীকে মিথ্যা অপহরণ মামলায় কারাগারে অন্তরীন থাকার একমাস পর জামিনে মুক্তি লাভ করে। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১১ জুন ভোরে কৌশলে মামার বাড়ি থেকে পালিয়ে শ^শুর বাড়িতে চলে আসি। স্বামীর বাড়িতেই সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। কিন্তু প্রতিবেশী কাকা অনুপ মাস্টার, মেশো অলক ও দাদা অমল ঘোষের ইন্ধনে আমার পিতা আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের আবারো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, ভাড়াটিয়া বাহিনী পাঠিয়ে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিসহ নানান চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ হলে নিজের ভালো মন্দ সিদ্ধান্ত নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবো। আমি এখন বাংলাদেশের নাগরিক এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার উপযুক্ত হয়েছি।
নিজের সুখের ঠিকানা নিজেই পছন্দ করে নিয়েছি। পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মহান আল্লাহর ইবাদত করে এবং স্বামীর সেবা করে জীবন কাটাতে চাই। কিন্তু উল্লেখিত প্রতিবেশী কাকা অনুপ মাস্টার, মেশো অলক ও দাদা অমল ঘোষের ইন্ধনে আমার পিতাসহ অন্যারা আমাদের দিশেহারা করে তুলেছে। আমি আমার বাবা মার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই না। কারন তারা হিন্দু আর আমি মুসলিম। আমি বাঁচতে চাই। এইভাবে যদি হইরানী করতে থাকে তা হলে আমি আত্মহত্যা করবো যার জন্য দায়ী থাকবে তারা। ষড়যন্ত্রের হাত থেকে স্বামীসহ স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।