ভাপা, পুলি, পাটিসাপটা, বিস্কুট পিঠা, চিতই পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, গোলাপ পিঠাসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার কমতি নেই। শীতকাল এলেই বাঙালির মনে উঁকি দেয় পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাঙালির শীত যেন পরিপূর্ণ হয় না। সাতক্ষীরার সদর উপজেলার রইচপুর এলাকার সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে গ্রামীণ পরিবেশে গ্রামীণ বাড়িতে দিনভর দেখা গেছে এগুলো।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনকে ঘিরে ছিল আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ।
প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা ও গ্রামীণ এলাকার শিশুদের নিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে বন্ধুসভার বন্ধুরা হাতে হাত লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে সেখানে প্রদর্শন করে ও শিশুদের হাতে পিঠা ও পুলি তুলে দেয় । হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ ঐতিহ্য বাংলা ঢেঁকি তে নবান্নের নতুন আতপ চাল কুটেছেন আবার কেউ কেউ সেই চালের গুড়া নিয়ে টুকছেন। আবার কেউ কেউ সেই চালের গুড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করছেন। উৎসবে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ পিঠা শিশুদের খাওনো হয়।
সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুমে প্রথম আলো বন্ধুসভার পক্ষ্য থেকে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। শীত মৌসুমের ঐতিহ্যকে ধরে রাখা, নতুন প্রজন্মনের শিশুদের গ্রামীণ পিঠা-পুলি সম্পর্কে জানানো, নতুন-নতুন পিঠার পরিচিতি ও বাংলার চিরাচরিত পিঠার স্বাদ গ্রহন করানো ও পিঠা পুলি সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই এই উৎসবের লক্ষ্য।
পিঠা পেয়ে ছোট্ট সোনামনি মুক্তা বলে আমার মা বহু দিন পিঠা খাওয়নি এভাবে আমার ইচ্ছা মতো আমি পিঠা খেতে পেরেছি।পিঠা খেতে ফাইন লাগে, আমি অনেক পিঠা খেয়েছি।
গ্রামবাসীরা বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ সংস্কৃতির পিঠাপুলি। নাগরিক জীবনে যখন সবাই যান্ত্রিকতায় মানে ফোনের ভিতর আবদ্ধ হয়ে পড়ছে, তখন থেকে আমরা সব কিছু হারিয়ে যেতে বসেছি। সীমিত হয়ে পড়ছে আমাদের মানবিক বোধ, তখন আমাদের সেই গ্রামীণ সংস্কৃতির অনন্য স্বাদ নিয়ে হাজির প্রথম আলো বন্ধুসভার পিঠা উৎসব। তাই এখানে পিঠা খেতে আসা।
বন্ধুসভার বন্ধু বলেন, এখানে এসে নতুন নতুন অনেক পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারছি এবং নিজ হাতে ও অনেক পিঠা আমি তৈরি করেছি। অনেকগুলো খেয়েছি। সেগুলোর স্বাদও অনেক মজাদার। প্রেস বিজ্ঞপ্তি