নিজস্ব প্রতিনিধি : লিডার্স ও লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল এর বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে সম্মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিডার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স সমাজসেবা অধিদপ্তর ও এনজিও এফেয়ার্স ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত সংগঠন যা প্রায় ২ দশক ধরে বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলে সুনামের সাথে কাজ করছে। সম্প্রতি একটি ফেসবুক গ্রæপ “অগ্রযাত্রা” থেকে একটি ভিডিও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তারা যে ৬টি দাতা সংস্থার নাম উল্লেখ করেছে, তাদের মধ্যে দুটির সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই। আর বাকীগুলোতে হিসাবের অনেক গড়মিল।
অপরাধ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা উচিৎ নয়। কিন্ত যেভাবে লিডার্সের পরিচালককে ব্যাক্তিগত আক্রমন করা হয়েছে তা আমাদের বিষ্মিতি করেছে। একটি সংগঠন পরিচালিত হয় একটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড দ্বারা। সেখানে বিভিন্ন স্তরে কর্মীরা থাকে যারা সংগঠন পরিচালনায় ভুমিকা রাখেন। সেখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে শুধু নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে বিষদগার করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত, সম্মানহানীকর ও তার জীবনের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরুপ।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি প্রকল্প এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমোদন হওয়ার পর, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা আসে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের দাতা সংস্থ’া তহবিল ব্যবস্থ’াপনা মনিটরিং করে। এছাড়া এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকাভুক্ত একটি অডিটর প্রকল্প অডিট করেন। অডিটর এই প্রকল্পের প্রতিবেদন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে জমা দেন। ব্যুরো এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গ্রহন বা বর্জন করেন। লিডার্স এ পর্যন্ত যত প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যয়ন প্রদান করেছেন ও সকল প্রকল্পের অডিট প্রতিবেদন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে গৃহীত হয়েছে। এনজিও কার্যক্রম অনুমোদন থেকে বাস্তবায়ন ও অডিট প্রতিবেদন গৃহীত হওয়ার যে প্রসেস রয়েছে তা মনে হয় এই ভুয়া নিউজ তৈরী করা ব্যাক্তি অবগত নন। না জেনে এমন একটি প্রতিবেদন লিডার্সের দীর্ঘদিনের সুনামে কালিমা লেপন করে। লিডার্স যে অর্থ বিদেশ থেকে নিয়ে আসে তা স্থানীয় মানুষের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়, আপনাদের লেখনীতে তা একাধিকবার উঠে এসেছে। সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়ও বটে। ওই সকল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে সফল হলে এই উপকুলীয় এলাকা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে যা কাম্য নয়।
লিডার্সের একটি রিভার এম্বুলেন্স রয়েছে যা শুধুমাত্র বাঘে ও কুমিয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করার জন্য ব্যবহৃত হবে। কোন ব্যাক্তি যদি বাঘ ও কুমিরে আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে উদ্ধারে শুধুমাত্র বনবিভাগ যদি এই রিভার এম্বুলেন্স কল করে তখন কেবল এই রিভার এম্বুলেন্সটি কাজ করবে। অন্যথায় এই রিভার এম্বুলেন্স সুন্দরবনে ঢোকার অনুমতি নেই। রিভার এম্বুলেন্সটি লিডার্স এর স্বা¯’্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়। দুর্যোগের সময় স্থানীয় প্রশাসন এই রিভার এম্বুলেন্সটিও ব্যবহার করতে পারেন। উপকুলীয় এলাকায় কর্মরত কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হাইলেভেল ভিজিট হলে উন্নয়নের স্বার্থে এই রিভার এম্বুলেন্স ব্যবহার করতেও পারেন। এই এম্বুলেন্সটি সচল রাখার জন্য সপ্তাহে ১ বার ট্রায়াল দিতে হয়। সেক্ষেত্রে এই এম্বুলেন্সটি মানুষ নিয়ে চলাচল করতে পারে কিনা তার জন্য আমাদের সহকর্মীরা যেয়ে সরজমিনে দেখেন ও প্রতিবেদন প্রদান করেন। এই রিভার এম্বুলেন্স কখনো প্রমোদ ভ্রমনে ব্যবহার করা হয়না ও কখনো পর্যটক বা লিডার্সের সাথে জড়িত নয় এমন মানুষ তোলা হয়না।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে এই সংগঠনের সুনাম রয়েছে। ইতিপুর্বে লিডার্স কোরিয়া থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াটার শোকেজ, চ্যানেল আই থেকে দুর্যোগ হিরো হিসাবে পুরষ্কার ও ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সুপেয় পানির উপরে জায়েদ সাসটেননিবিলিটি প্রাইজ পেয়ে বিদেশের মাটি থেকে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। লিডার্সের উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধিতে একটি স্বার্থন্বেষী মহল লিডার্সের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিপুর্বে অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে তা আপনাদের অবগত। তিনি দেশ ও উন্নয়ন বিরোধী এই অপতৎপরতার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ##