নিজস্ব প্রতিনিধ : সাতক্ষীরার কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা গ্রামের বিধবা মোছা: মর্জিনা খাতুনের বসতবাড়ি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ আগস্ট সোমবার বিকেল ৫ টায় পূর্ব জমি জায়গার বিরোধ থেকে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সুজন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই ঘরবাড়ি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে মোছাঃ মর্জিনা খাতুনের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক গাজী, তিন শরিকের ৩০ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, ও বাকি ৯ শতাংশ জমির বায়না পত্র করেন। সেই সূত্রে ওই জমি মর্জিনা খাতুন ভোগ দখল করেন । বিপত্তিবাদে আব্দুল ওহাবের মৃত্যুর পরে, তার তার ছেলে মাহমুদুল হাসান সুজন ওই ৯ শতাংশ জমির বাইনা পাত্র অস্বীকার করেন। মাহমুদুল হাসান সুজন, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহেল রানা, কলারোয়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি মোতাহার রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন টুটুল, ডাক্তার বাবু সহ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মর্জিনা খাতুনের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তার সাইট থেকে দখল করার অভিযোগ উঠে।
মর্জিনা খাতুন জানায়, গত ১৮ই আগস্ট বিকালে হঠাৎ করে মাহমুদুল হাসান সুজনের নেতৃত্বে যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, আমি একজন বিধবা মহিলা, বাড়িতে আমি একা থাকি, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি, এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান সুজন জানায়, আপনারা যে অভিযোগ সম্পর্কে শুনেছেন এটা কোন দলীয় বিষয় না, এটা আমার দাদার সম্পত্তি, দুইশত বছর পুরাতন সম্পত্তি, ওদের কাছে ৪ শতক জমির চৌহদ্দি করে বিক্রি করা, ওদের কাছে ৯ শতক জমি ভাড়া দেওয়া এবং চুক্তি পত্র আছে। ২০০৯ সাল পরবর্তীতে তারা আর ভাড়া আমাদেরকে দেয়নি, দীর্ঘদিন যাবত তারা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এই ভাড়া গুলো দেয় না। ৫ই আগস্ট পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পরে তাদেরকে ৬ মাস ধরে তাগিদ দিচ্ছি, এক জায়গায় বসার জন্য, গ্রাম্য সালি সে প্রাথমিকভাবে তারা মেনে নিলেও পরবর্তীতে তারা আর মানে নাই, তার সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে,বর্তমানে শুনলাম কোর্ট থেকে ১৪৫ ধারা জারি করেছে এই খবর আমি পেয়েছি সেই সূত্রে আমার এরিয়া ধনী লোক থেকেই চালটা সরিয়ে দিয়েছে বর্তমান সেই অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শেখ সাইফুল ইসলাম জানান,গত ১৮ তারিখে মর্জিনা খাতুন নামে একজন মহিলা এসেছিলেন কুশোডাঙ্গা থেকে উনার বাড়ি ভাঙচুর করে, তিনি জমি ক্রয় করেছিল যাদের কাছ থেকে তারাই তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে, আমরা একটা অভিযোগ নেই, মামলা নেয়ার মত হলে মামলা নিয়ে নিব অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই পারভেজকে পাঠানো হয়, মামলা রেকর্ড করার সময় বাদী এবং বিবাদী আমার এখানে আসেন তারা কয়েকদিন সময় চান তারা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে পারে, না পারলে মামলা রেকর্ড করা হবে।