আমির হোসেন খান চৌধুরী : সনদ জালিয়াতি এবং প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্তির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এমপিও স্থগিত হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরার কুখ্যাত শিক্ষাদস্যু এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান, তার স্ত্রী সেলিনা সুলতানা ও আরও ৩ জন শিক্ষকের। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩রা জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্ত হন। এদের মধ্যে শিক্ষক সেলিনা সুলাতানা সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্যতাবিহীন পদে এমপিওভুক্ত হন। এছাড়া নিয়োগকালে তার কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের সনদ জালিয়াতি করেন বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়।
একইভাবে, মোঃ হুমায়ুন কবির ইসলামের ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরিসংখ্যানে, সুরাইয়া সুলতানা ইতিহাসে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে এবং মোঃ শাহজাহান কবির ভূগোলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোলে এমপিওভুক্ত হন। আর কলেজের অধ্যক্ষ প্রাপ্যতাবিহীন পদে এসব শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন অগ্রায়ন করেন।
এমতাবস্থায়, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আখতারুজ্জামানসহ অপর ৪ শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করে কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সাময়িকভাবে স্থগিতের পূর্বে সাত দিন সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে।
এছাড়া শিক্ষক সেলিনা সুলতানা, মোঃ হুমায়ুন কবির, সুরাইয়া সুলতানা এবং মোঃ শাহজাহান কবির এ যাবত গৃহীত অর্থ চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অর্থ আদায়ে দরকার হলে পিডিআর এ্যাক্ট, ১৯১৩তে মামলা দায়েরের কথাও বলা হয়েছে এ আদেশে।
এদিকে শিক্ষক সেলিনা সুলাতানার নিয়োগ বাতিল ও সনদ জালিয়াতির জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের লক্ষ্যে কলেজের গভর্নিং বডিকে নির্দেশনা প্রদান করতে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।