মায়ের প্রেমিকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মেয়ে শ্বেতাও। জলপাইগুড়িতে এলআইসি অফিসার উত্তম মোহন্ত খুনের ঘটনায় এমনই তথ্য এখন পুলিশর হাতে। একই যুবকের সঙ্গে মা ও মেয়ের প্রেম। এই নিয়েই সম্ভবত জটিলতা তৈরি হয়েছিল গোটা পরিবারে। আর এ জন্যই খুন হতে হয় উত্তম মোহন্তকে। প্রেমিক অনির্বাণের সঙ্গে শ্বেতার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানা ছিল মা লিপিকারও। এই নিয়ে সম্ভবত আপত্তিও তুলেছিল লিপিকা।
যদিও মায়ের কথায় কান না দিয়ে অনির্বাণের কাছে নিজেকে জাহির করতে থাকে শ্বেতা। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবারই শ্বেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এর আগে ৩০ জুন গ্রেপ্তার করা হয় উত্তমবাবুর স্ত্রী লিপিকাকে। ১৩ দিন ধরে তাকে পুলিস হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। মা ও মেয়েকে পাশাপাশি বসিয়ে রেখেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুক্রবার দুজনকেই তোলা হয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। বিচারক লিপিকাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পাঁচ দিনের জন্য পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বারাসতের মনুয়া–কাণ্ডের মতোই প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে লিপিকা তার স্বামীকে খুন করেছে বলে এতদিন মনে করছিল পুলিস।
এবার এই কাণ্ডে শ্বেতার নাম উঠে আসায় পুলিসও অনেকটা ধন্দে রয়েছে। জানা গেছে, আমের রসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে খুন করা হয়েছিল উত্তমবাবুকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক লিপিকার প্রেমিক অনির্বাণ। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সন্দেহ, অনির্বাণ ভিন রাজ্যে পালিয়ে গেছে। পুলিস জানতে পেরেছে, তাকে পালাতে সাহায্য করেছে শ্বেতা।
তাই ভিনরাজ্যেও জাল বিছিয়েছে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অনির্বাণের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল লিপিকা। এমনকি নিজের বাড়িতে অনির্বাণের সঙ্গে রাত কাটিয়েছে। তাদের কুকর্মে স্বামী যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এজন্য লিপিকা ও তার প্রেমিক মিলে উত্তম মোহন্তকে দড়ি দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। একই বাড়িতে থাকার সুবাদে এইসব ঘটনা ভালভাবেই জানা ছিল শ্বেতারও। সূত্র-আজকাল