পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলরের (ভিসি) সম্মেলন কক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা উপস্থিত ছিলেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কিংবা তার পক্ষে কোনো প্রতিনিধি সভায় ছিলেন না বলে জানা গেছে। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ বাদ রেখেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখও চূড়ান্ত করা হয়নি।
এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জবি ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান।
সভায় তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ একই দিনে সকালে ও বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদের সভাপতিত্ব দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী ছিল এ সভা। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না। স্বতন্ত্রভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সারাদেশে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ২৩ জুলাই প্রকাশ করা হবে। আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১৪ অক্টোবর, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২১ অক্টোবর, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ নভেম্বর, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০ অক্টোবর, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ নভেম্বর।
শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪ নভেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ নভেম্বর এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ২ ডিসেম্বর।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ থেকে ৮ নভেম্বর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ নভেম্বর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯ ও ১০ নভেম্বর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ অক্টোবর, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০ ও ২১ ডিসেম্বর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩ ও ৪ নভেম্বর, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মার্চ ৪র্থ সপ্তাহ ২০১৮।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির তারিখ হচ্ছে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১৮ অক্টোবর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২২ থেকে ৩০ অক্টোবর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ২৪ ও ২৫ নভেম্বর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৭ ও ১৮ নভেম্বর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ ও ২৫ নভেম্বর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১১ নভেম্বর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ২৪ আগস্ট থেকে আবেদন শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ৮ ডিসেম্বর এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ৫ নভেম্বর।
সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, জাবি ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জবি ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমানসহ ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা উপস্থিত ছিলেন।